প্রকাশ: রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩, ৯:৪২ পিএম

চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর আগ্রাবাদের রঙ্গিপাড়ায় ইয়াছিন আরাফাত নামের দেড় বছরের এক শিশু নালায় পড়ে নিখোঁজ রয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে নালায় পড়ে দুই শিশু ও এক ছাত্রীসহ তিনজনের মৃত্যু হলো।
রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রঙ্গীপাড়া এলাকায় কে এম হাশেম টাওয়ারের পাশে নালায় এ ঘটনা ঘটে।
ইয়াছিন একই এলাকার সাদ্দাম হোসেনের ছেলে। তাকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক এমডি আবদুল মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সন্ধ্যায় আগ্রাবাদে কেএম হাশিম টাওয়ার এলাকায় নালার ভেতর তলিয়ে যায় ওই শিশু। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা নালার আবর্জনার ভেতরে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। তবে এখনো নিখোঁজ ওই শিশুর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, নালার পাশেই তাদের বাসা। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছে না।
‘অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পাওয়ায় স্বজনরা ধারণা করছে শিশুটি নালায় পড়ে গেছে। আমরা সাড়ে পাঁচটায় খবর পেয়ে নালায় অনুসন্ধান চালাচ্ছি।’
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ওই এলাকায় অনেক সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও নালার যে অংশে শিশুটি পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই অংশ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতার বাইরে।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল সদরঘাটের নালাপাড়া এলাকায় তিন বছরের শিশু ওজাইফা মারা যায় নালায় পড়ে। এরপর গত ৭ আগস্ট নীপা পালিত নামে হাটহাজারী কলেজের এক শিক্ষার্থী নালায় পড়ে মৃত্যুবরণ করেন।
জানা গেছে, গত সাত বছরে অরক্ষিত ড্রেন ও খালে পড়ে চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০২১ সালে সর্বোচ্চ চার জন মারা যায়। ঐ বছর ২৫ আগস্ট মুরাদপুরে খালে পড়ে নিখোঁজ হন সালেহ আহমেদ নামে এক ব্যক্তি। ৭ ডিসেম্বর ষোলশহর এলাকায় চশমা খালে পড়ে মারা যায় কামাল উদ্দিন নামে এক শিশু। নিখোঁজের তিন দিন পর তার লাশ উদ্ধার হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদ মোড়ে ড্রেনে পড়ে আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী শেহেরিন মাহমুদ সাদিয়া মারা যান। ৩০ জুন ষোলশহরের চশমা খালে পড়ে তিন অটোরিকশা আরোহী নিখোঁজ হন। পরে চালক সুলতান ও যাত্রী খাদিজা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ বছরও এ পর্যন্ত ড্রেনে পড়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভোরের পাতা/কে