খালেদা জিয়াকে অবশ্যই রাষ্ট্রপতির কাছে সাধারণ ক্ষমা চাইতে হবে: ড. ওয়ালি-উর রহমান
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১, ১১:২৪ পিএম

খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে বিশেষ বিবেচনায় চিকিৎসাধীন আছেন। নাগরিক হিসেবে তিনি যে অবস্থানেই থাকুক তার চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে। সরকার প্রথম থেকেই বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি বিশেষ মানবতা দেখাচ্ছেন। তাকে রাষ্ট্রপতির কাছে সাধারণ ক্ষমা চাইতে হবে এবং তার কাছ থেকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নিতে হবে। তাহলে হয়তো একটা উপায় দেখিয়ে দিবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। কিন্তু বিএনপি সেটা করতে চাচ্ছে না।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৩৪তম পর্বে বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ালি-উর রহমান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠাতা আফছার খান সাদেক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. ওয়ালি-উর রহমান বলেন, আজকে সংলাপের যে আলোচ্য বিষয় সেটা নিয়ে যদি আমি কিছু বলতে চাই তাহলে আমাকে প্রথমে একটা বিষয়ের উপর আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে যে, সারা পৃথিবীতে একটা নিয়ম আছে যে, কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি অসুস্থ হোন তাহলে সেখানে নিয়মানুযায়ী প্রেস ব্রিফিং করে তার সেবায় নিয়োজিত ডাক্তাররা। কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এই প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন না। কারণ হচ্ছে যে, যখন কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি এই প্রেস ব্রিফিংয়ে আসবে তখন এটা কিন্তু একটা সন্দেহের সৃষ্টি করে। এখানেও তাই হয়েছে। আমরা দেখতে পারছি যে, বিএনপির মহাসচিব সব সময় প্রেস ব্রিফিং করছেন এবং তিনিই বলে যাচ্ছেন যে বেগম জিয়া গুরুতর অসুস্থ। বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে তারা যে প্রস্তাব দিয়েছেন সেখানে অনেক প্রশ্ন উঠে, কিন্তু আমরা সবাই চাই যে তিনি যেন সুস্থ হয়ে উঠেন, তিনি দুবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বাংলাদেশের, তিনি একজন সিনিয়র সিটিজেন, ৭৭ বছর বয়স তার; কাজেই আমাদের তার প্রতি সমবেদনা অবশ্যই থাকবে। কিন্তু যেহেতু তিনি অন্যায় করেছেন, তিনি আইনের আওতায় জেল থেকে বের করিয়ে এনে তাকে বাসায় চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুতরাং তাকে কিছু পেতে হলে দুটি কাজ করতে হবে। তাকে রাষ্ট্রপতির কাছে সাধারণ ক্ষমা চাইতে হবে এবং তার কাছ থেকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নিতে হবে। তাহলে হয়তো একটা উপায় দেখিয়ে দিবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। কিন্তু বিএনপি সেটা করতে চাচ্ছেন না। অথবা তিনি জেলে গিয়ে সেখানে বসে প্রার্থনা করতে পারেন। সেখানে একটা প্রশ্ন থাকে যে, আপনি যে অন্যায় করেছেন সেটা আপনাকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। এখানে কিন্তু আমি কোন প্রতিহিংসার কথা বলছি না।