শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
খালেদা জিয়াকে যথেষ্ট মানবিকতা দেখাচ্ছে সরকার
#খালেদা জিয়াকে অবশ্যই রাষ্ট্রপতির কাছে সাধারণ ক্ষমা চাইতে হবে: ড. ওয়ালি-উর রহমান। #প্রথম থেকেই সরকারের বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন খালেদা জিয়া: ডা. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ। #খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি রাজনীতির মাঠ গরম করতে চাচ্ছে: আফছার খান সাদেক।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১, ১১:২৪ পিএম

খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে বিশেষ বিবেচনায় চিকিৎসাধীন আছেন। নাগরিক হিসেবে তিনি যে অবস্থানেই থাকুক তার চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে। সরকার প্রথম থেকেই বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি বিশেষ মানবতা দেখাচ্ছেন। তাকে রাষ্ট্রপতির কাছে সাধারণ ক্ষমা চাইতে হবে এবং তার কাছ থেকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নিতে হবে। তাহলে হয়তো একটা উপায় দেখিয়ে দিবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। কিন্তু বিএনপি সেটা করতে চাচ্ছে না।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৩৪তম পর্বে বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-  সাবেক পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ালি-উর রহমান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠাতা আফছার খান সাদেক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।

ড. ওয়ালি-উর রহমান বলেন, আজকে সংলাপের যে আলোচ্য বিষয় সেটা নিয়ে যদি আমি কিছু বলতে চাই তাহলে আমাকে প্রথমে একটা বিষয়ের উপর আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে যে, সারা পৃথিবীতে একটা নিয়ম আছে যে, কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি অসুস্থ হোন তাহলে সেখানে নিয়মানুযায়ী প্রেস ব্রিফিং করে তার সেবায় নিয়োজিত ডাক্তাররা। কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এই প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন না। কারণ হচ্ছে যে, যখন কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি এই প্রেস ব্রিফিংয়ে আসবে তখন এটা কিন্তু একটা সন্দেহের সৃষ্টি করে। এখানেও তাই হয়েছে। আমরা দেখতে পারছি যে, বিএনপির মহাসচিব সব সময় প্রেস ব্রিফিং করছেন এবং তিনিই বলে যাচ্ছেন যে বেগম জিয়া গুরুতর অসুস্থ। বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে তারা যে প্রস্তাব দিয়েছেন সেখানে অনেক প্রশ্ন উঠে, কিন্তু আমরা সবাই চাই যে তিনি যেন সুস্থ হয়ে উঠেন, তিনি দুবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বাংলাদেশের, তিনি একজন সিনিয়র সিটিজেন, ৭৭ বছর বয়স তার; কাজেই আমাদের তার প্রতি সমবেদনা অবশ্যই থাকবে। কিন্তু যেহেতু তিনি অন্যায় করেছেন, তিনি আইনের আওতায় জেল থেকে বের করিয়ে এনে তাকে বাসায় চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুতরাং তাকে কিছু পেতে হলে দুটি কাজ করতে হবে। তাকে রাষ্ট্রপতির কাছে সাধারণ ক্ষমা চাইতে হবে এবং তার কাছ থেকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নিতে হবে। তাহলে হয়তো একটা উপায় দেখিয়ে দিবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। কিন্তু বিএনপি সেটা করতে চাচ্ছেন না। অথবা তিনি জেলে গিয়ে সেখানে বসে প্রার্থনা করতে পারেন। সেখানে একটা প্রশ্ন থাকে যে, আপনি যে অন্যায় করেছেন সেটা আপনাকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। এখানে কিন্তু আমি কোন প্রতিহিংসার কথা বলছি না।

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেন, আমরা মনে করি খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে বিশেষ বিবেচনায় চিকিৎসাধীন আছেন। নাগরিক হিসেবে তিনি যে অবস্থানেই থাকুক তার চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে। সরকার প্রথম থেকেই বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি বিশেষ মানবতা বা দুর্বলতা দেখাচ্ছেন। নির্বাহী আদেশে উনাকে নিজের বাসায় রাখা হয়েছে, নিজের পছন্দের চিকিৎসকদের দ্বারা সেবা দেওয়া হচ্ছে বা বাংলাদেশের যেকোনো চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা নিতে পারছেন, নিজের পরিবার পরিজনের সাথে দেখা করতে পারছেন। যদিও তিনি একটা জঘন্য মামলার আসামি তারপরেও তিনি সরকারের কাছ থেকেই এই সুযোগটা পাচ্ছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে ও বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন যে, একজন মুক্ত স্বাধীন মহিলাকে জেলে পাঠানো হয়েছে, জেলে রাখা হয়েছে ফাতেমাকে, খালেদা জিয়ার সেবা দেওয়ার জন্য। এটাও একটি বিশেষ সুযোগ যেটাও কি না হওয়া উচিত ছিলো না বলে অনেকেই মনে করেন। কারণ বেগম খালেদা জিয়া যিনি কি না বিএনপি দলের সভানেত্রী, তিনি এই সুযোগ পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন না বলে অনেকেই মনে করেন। সুতরাং আমরা স্পষ্টভাবে দেখছি যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উনি নিজেও বলেছেন যে, উনি উনার সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করে তাকে সুযোগ দিয়েছেন বাকিটা আইনের মাধ্যমে ফয়সালা করতে হবে। এবং আমাদের আইনমন্ত্রীও কিন্তু বলেছেন কিভাবে আইনের মাধ্যমে তারা এপ্রোচ করতে পারবেন। এখন মাঝে মাঝে আমরা শুনছি যে, খালেদার পরিবারের সাথে বিএনপির নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব হচ্ছে, পরিবারের লোকজন নাকি চাচ্ছেন না এটা নিয়ে কোন আন্দোলন সংগ্রাম হোক। হয়তো বা তার পরিবার খালেদা জিয়ার শারীরিক আসল অবস্থা জানেন বিধায় বলেই তারা এটা চাচ্ছেন না।

আফছার খান সাদেক বলেন, সরকার শুধু খালেদা জিয়ার প্রতি মানবিক না, সরকার সতেরো কোটি মানুষের প্রতি মানবিক। বাংলাদেশ সরকার তথা আওয়ামী লীগ সরকারের যদি মানবতা না থাকতো তাহলে এভাবে ১০ লাখ রোহিঙ্গাদেরকে সাহায্য করতো না। বহিঃবিশ্বে আওয়ামী লীগ সরকার এই মানবিকতার জন্য অনেক সুনাম কুড়িয়েছেন। শুধু খালেদা জিয়া কেন, এখন যদি আমাদের সতেরো কোটি মানুষের যদি অসুখ হয় তাহলে কি তাদের বাহিরে নেওয়ার ব্যবস্থা আছে? এই যে করোনা গেল, এই করোনার ক্রান্তিকালে দেশের কয়জন মানুষ বিদেশে যেতে পেরেছে? খালেদা জিয়ার জন্য জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ বাংলাদেশের সরকার যে বিশেষ মানবতা দেখাচ্ছে সেটার জন্য বিএনপির উচিত সরকারের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করা। খালেদা জিয়া যিনি একজন সাধারণ কয়েদী হিসেবে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। আমরা খালেদা জিয়ার প্রতি অনেক সহনশীল এবং আল্লাহ্র কাছে উনার জন্য দোয়া চাচ্ছি, উনাকে যেন আল্লাহ সুস্থতা দান করুক। উনি যেন সুস্থ হয়ে উনার নিত্যকার্যাদি করতে পারেন। এখানে রাজনীতি করার কোন সুযোগ  নেই। বিএনপি কি বললো, মির্জা ফখরুল কি বললো, এই সব কিছু শোনার প্রয়োজন নেই আমাদের। কারণ খালেদা জিয়া সাধারণ একজন কয়েদী যিনি সরকারের বিশেষ সুবিধায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও জেলের বাইরে আছেন।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com