প্রকাশ: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৫৬ পিএম

দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও জুলাই বিপ্লবের চেতনা রক্ষায় বৃহত্তর ঐক্যের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণে দলটি জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আট দলের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রোববার রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই ঘোষণা দেন।
নাহিদ ইসলাম জানান, এনসিপি প্রাথমিকভাবে এককভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও সাম্প্রতিক ‘শহীদ শরিফ ওসমান হাদি’ হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্র বদলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, “ওসমান হাদিকে প্রকাশ্যে গুলি করার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে, আধিপত্যবাদী শক্তিগুলো এখনো সক্রিয়। তারা নির্বাচন বানচাল এবং জুলাই প্রজন্মকে নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্র করছে। এই আগ্রাসন রুখতে এবং একটি প্রতিযোগিতামূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতেই আমরা বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে জামায়াতসহ আট দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এর আগে তিনটি দলের সমন্বয়ে একটি সংস্কার জোট গঠনের কথা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদী শক্তির চক্রান্ত মোকাবিলায় এই বৃহত্তর নির্বাচনী সমঝোতা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
নাহিদ ইসলাম হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আজ ওসমান হাদির গায়ে গুলি লেগেছে, কাল অন্য কারোর গায়ে লাগতে পারে। তাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী অগ্রযাত্রাকে স্থিতিশীল করতে এই ঐক্য জরুরি।
এই জোটের আসন বণ্টন ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা নিয়ে কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামীকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) এনসিপি ও জোটের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।