প্রকাশ: শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:২৫ পিএম

বাজারের টেকসই ও জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকি মোকাবিলা, নিরাপদ ব্যবসা পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষে বাস্তবায়নাধীন প্রভাতী প্রকল্প ভুরুঙ্গামারীতে ইতিবাচক পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র জয়মনিরহাট বাজারে সম্পন্ন হয়েছে হাটসেড সহ অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বদলে গেছে বাজারের চিত্র।
বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ)-এর অর্থায়নে এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর বাস্তবায়নে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ টাকা।
উপজেলা প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকার জানান, প্রভাতী প্রকল্পের আওতায় জয়মনিরহাট বাজারকে জলবায়ু সহনশীল ও দীর্ঘস্থায়ী অবকাঠামোর আওতায় আনা হয়েছে। এতে বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নত হবে এবং ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে। এই উন্নয়নের সুফল শুধু ব্যবসায়ীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং আশপাশের গ্রামের সাধারণ মানুষও উপকৃত হবেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখতে বাজার উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। প্রভাতী প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। ইফাদের সহায়তায় বাস্তবায়িত এই প্রকল্প স্থানীয় জনগণের আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এছাড়াও, প্রকল্পের আওতায় সদস্যদের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগের ফলে এলাকাবাসী বিশেষ করে নারী শ্রমিকরা আয়মুখী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। জয়মনিরহাট সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে মোট ১৪৫ জন নারী সদস্য স্থানীয় শ্রমিক হিসেবে এই প্রকল্পে কাজ করেছেন, যা তাদের জীবনমান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
জয়মনিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, প্রভাতী প্রকল্পের মাধ্যমে জয়মনিরহাট বাজারে দীর্ঘদিনের সমস্যা দূর হয়েছে। উন্নত অবকাঠামোর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও জনসাধারণের চলাচল সহজ হয়েছে। এই উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য তিনি সরকার ও এলজিইডিকে ধন্যবাদ জানান।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম ও আব্দুল মালেক জানান, আগে রোদ-বৃষ্টিতে মাথার উপর ত্রিপল ব্যবহার করতাম। বর্ষায় জলাবদ্ধতা ও কাদা-পানির কারণে বাজারে ব্যবসা করা কষ্টকর হত। এখন উন্নত অবকাঠামোর ফলে ক্রেতার উপস্থিতি বেড়েছে, ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য আগের তুলনায় ভালো হচ্ছে।