মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: ভয়ের কোনো কারণ নেই, নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে: তারেক রহমান   স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পাশে দাঁড়িয়ে তার পদত্যাগ চাইলেন সাদিক কায়েম   বসুন্ধরা খাতার পক্ষ থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের মাঝে ব্রেইলবুক বিতরণ   বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে অভিযোগ   হাদীকে হামলার পর ঝিনাইদহ মহেশপুর সীমান্তে বিজিবি'র সর্বোচ্চ সতর্কতা   বাজুসের প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীর, প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান দোলন   হাদির শ্যুটারকে ভারতের গুয়াহাটিতে শেল্টার দিচ্ছেন নানক!   
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763085968.gif
কে হচ্ছেন নতুন প্রধান বিচারপতি?
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪:৩২ পিএম

দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ অবসরে যাচ্ছেন ২৭ ডিসেম্বর। ওই দিন সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন ছুটি থাকায় ১৮ ডিসেম্বর (ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস) তাঁকে সংবর্ধনা দেবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

আজ অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে বিদায়ি অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি। গণ অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে ইতিহাস সৃষ্টি করে সরাসরি হাই কোর্ট থেকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সৈয়দ রেফাত আহমেদের অবসরের পর এ আসনে কে বসবেন, এখন সেই আলোচনাই চলছে আইন অঙ্গনে। এবার জ্যেষ্ঠতা রক্ষা হবে নাকি ভিন্ন কিছু ঘটবে, তা নিয়ে চলছে জল্পনাকল্পনা।

প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সংবিধানে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে ‘প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন’ ছাড়া অন্য কোনো যোগ্যতা বা শর্তের কথা লেখা নেই। তবে জুলাই সনদ ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ বিচারপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকলে দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের কথা বলা হয়েছে সুপারিশে। আইনজ্ঞদের মতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার পাশাপাশি দেশপ্রেম, বিচার বিভাগের প্রতি দায়বদ্ধতা ও সততার বিষয়গুলোও বিবেচনা করা উচিত। অন্তর্বর্তী সরকার পূর্বের রাজনৈতিক সরকারগুলোর মতো পিক অ্যান্ড চুজ করবে না বলেও প্রত্যাশা তাঁদের।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ছাড়া বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ছয়জন বিচারপতি রয়েছেন। জ্যেষ্ঠতা অনুসারে তাঁরা হলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। এ ছয় বিচারপতির মধ্যে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নাম সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে।

রীতি অনুযায়ী আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে একমাত্র দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ঘটনাটি ব্যতিক্রম। চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দাবি ওঠে শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া সব বিচারপতির পদত্যাগের। ওই বছর ১০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাওয়ের মতো ঘটনা ঘটে। ওই দিন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের ছয়জন বিচারপতি পদত্যাগে বাধ্য হন। সেদিনই আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। বিচার বিভাগের ইতিহাসে এ ঘটনাটি ছিল একেবারেই নতুন। ১১ আগস্ট শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রধান বিচারপতির আসনে বসেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সংবিধান অনুযায়ী ৬৭ বছর পূর্ণ হলে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অবসরে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের ৬৭ বছর পূর্ণ হচ্ছে। তবে ১৯ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের শীতকালীন অবকাশ শুরু হওয়ায় ১৮ ডিসেম্বরই প্রধান বিচারপতি হিসেবে শেষবারের মতো এজলাসে বসবেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাই কোর্ট থেকে নিয়োগ হলেও তাঁর নিয়োগের প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। সে সময় আপিল বিভাগে একজন ছাড়া বাকি সবাই পদত্যাগ করেছিলেন। এ ছাড়া বর্তমান প্রধান বিচারপতি ছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতম। তাঁর নিয়োগের সময় দেখলে দেখা যাবে, তিনি তৎকালীন আপিল বিভাগের অনেকের চেয়েও জ্যেষ্ঠ ছিলেন।’

জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘একসময় প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। অনেকে যোগ্য থাকার পরেও তাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে।’

আজ বিদায়ি অভিভাষণ : আজ উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বিদায়ি অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বেলা ৩টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে দেশের জেলা আদালতগুলোতে কর্মরত উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছে। অধিবেশনে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ দেশের সব জেলা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে ‘বিদায়ি অভিভাষণ’ প্রদান করবেন।

বিচার বিভাগের সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়নে যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিলেন প্রধান বিচারপতি, বিদায়ি অভিভাষণে তার বাস্তবায়নে গত দেড় বছরে গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার বিষয়ে আলোকপাত করবেন। এতে বিচারকদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন তিনি।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »





http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763086027.gif

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1765376223.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763085829.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763085901.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763091212.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]