
যশোরের ঝিকরগাছায় কতিপয় প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেবার নামে চলছে রোগীর স্বজনদের পকেটকাটা ব্যবসা!
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ,দন্ত ও হোমিও চিকিৎসার নামে চলছে প্রতারণা!
দেশের ওষুধ প্রশাসন ও যশোরের সিভিল সার্জন এর নীলিপ্ত ও নিষ্ক্রিয়তার এই সুযোগ নিচ্ছে সেবার নামে ব্যবসা খুলে বসা একশ্রেণির চিকিৎসা ব্যবসায়ী!
নিয়মিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক,সিনিয়র ডিপ্লোমা নার্স থাকা বাধ্যতামূলক হলেও বেশিরভাগ ক্লিনিক গুলোতে এসব নিয়ম-কানুনের বাধ্যবাধকতা মানা হয় না। রোগী ভর্তির পর চুক্তিভিত্তিক আসেন চিকিৎসক।
প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনসহ অ্যাপেন্ডিক্স, এপেন্ডিসাইটিস,হার্নিয়া হাইড্রোসিল,গেজ-পাইলসের মতো রোগীর অপারেশন করা হয়। চুক্তিভিত্তিক অপারেশনে রোগীর অভিভাবকের পকেটকাটা হয়।
অভিযোগ রয়েছে,'অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অব্যবস্থাপনা,সরকারি ওষুধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ জব্দ, অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু'র মতো অনাকাঙ্ক্ষিত গুরুতর অভিযোগে বছরঅন্তে হাতেগোনা দুই একটি মামলা হয়। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত বা মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা ও জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযুক্ত প্রাইভেট ক্লিনিক সীলগালা করা হয়।
ব্যাস পর্যন্তই! আইনের ফাঁকফোকড় গলিয়ে দিব্যি পার পেয়ে যায় অভিযুক্তরা। ফের চলতে থাকে সেবার নামে মানুষ ঠকানো কারবার। যেন 'যথা পূর্বং তথা পরং' সেই আগের নিয়মেই!
যেন দেখার কেউ নেই! প্রশ্ন উঠেছে, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে, হাতেনাতে ধরা পড়ে তারা আইনের হাত থেকে সহজে পারপান কি করে? এমন প্রশ্নের উত্তরও যেন রহস্যঘেরা।
ঝিকরগাছা পৌরশহরে ১০/১২টিসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের হাটবাজারে প্রাইভেট ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ছাড়াও ডেন্টাল ক্লিনিক, হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্রসহ অগণিত ফার্মেসি রয়েছে।
এদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বৈধ অনুমোদন বা ড্রাগ লাইসেন্স নেই। যার তদারকির কার্যত দায়িত্ব ঔষধ প্রশাসনের ড্রাগ সুপার ও জেলার সিভিল সার্জন'র উপর বর্তায়।
অথচ তাদের অর্পিতদায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বিস্তর।
অভিযোগ রয়েছে, ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্নকারী অথবা ফার্মাসিস্টে অভিজ্ঞ অথবা ল্যাব এসিস্ট্যান্ট সহকারি পদে অভিজ্ঞরা নিজেদের কখনো কখনো ডাক্তার পরিচয় দিচ্ছেন। নাম পরিচয়ধারী এসব তথাকথিত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অপারেশন থিয়েটারে রোগীর অপারেশন করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
দ্রুত আরোগ্য লাভের প্রতারণার কৌশল হিসেবে হোমিও চিকিৎসার নামে এলোপ্যাথিক ঔষধ ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে কতিপয় হোমিও চিকিৎসক নামধারীর বিরুদ্ধে। ডেন্টাল সার্জন ডিপ্লোমা ভুয়া সার্টিফিকেটধারী ডেন্টিস্টের সংখ্যাও নাকি কম নয়। মোবাইল কোর্টে ধরা পড়লেও রহস্যজনক কারণে ছাড় পেয়ে যায় তারা!
ইতিপূর্বে এমন ঘটনা ধরা পড়েছে ঝিকরগাছার বাস স্ট্যান্ড এলাকায়। উপজেলার বাঁকড়া, ছুটিপুর, নাভারন, কায়েমকোলা,গদখালী বাজারে এসব ডেন্টিস্টের সংখ্যা কম নয়। প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তো রয়েছেই।