প্রকাশ: সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫, ২:১৬ পিএম

জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আগামী ১০ জুলাই আদেশ দেবেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (৭ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
আদালতে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন শুনানি করেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, আব্দুস সোবহান তরফদার ও মিজানুল ইসলাম। আদালতে হাজির ছিলেন মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে গত ১ জুন শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে ৫টি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গত ১৬ জুন তাদের পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। ২৪ জুন শুনানির তারিখ ধার্য করা হয় এবং ১৭ জুন পুনরায় আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা হাজির না হওয়ায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত।
এরও আগে, ১২ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ‘নির্দেশদাতা’ হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয়।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালত নির্দেশ দেয়, ২০ এপ্রিলের মধ্যে এই মামলার তদন্ত শেষ করতে হবে। আর ১ জুলাই অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে নির্বিচার গুলি ও হত্যার ঘটনায় প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এই আন্দোলন দমনে ‘পরিকল্পনা, উসকানি ও নির্দেশনা’র দায়ে শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার চলছে।