
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে ঘরমুখো মানুষের নেই কোনো বাড়তি চাপ।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ঈদের ছুটি থাকায় যাত্রীরা ধীরে ধীরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। তাই পরিবহনে যাত্রীদের চাপ কম। তাদের প্রত্যাশা আগামী দুই একদিনের মধ্যে যাত্রীর চাপ কিছুটা বাড়তে পারে।
রাজধানীর সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র। অল্প সংখ্যক যাত্রী যারা আসছেন তাদের নিয়েই ছাড়তে হচ্ছে দূরপাল্লার বাসগুলো। বেশিরভাগ বাসের আসন ফাঁকা রেখে কাউন্টার থেকে বাস ছেড়ে যাচ্ছে।
দক্ষিণ, পূর্ব অঞ্চলের বাস কাউন্টারগুলো যাত্রীর খোঁজে হাকডাক শুরু করছে কলার ম্যানরা। সুন্দরবনগামী শরণখোলা ট্রাভেলস কাউন্টার ম্যানেজার গুলজার হোসেন বলেন, সীমিত আকারে বাড়ি যাচ্ছে যাত্রীরা। সিট ফাঁকা থাকলেও সঠিক সময়ে ছাড়তে হচ্ছে গাড়ি।
সিলেটগামী রাফি পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার সুমন আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, শহরের বিভিন্ন জায়গায় সিলেট অঞ্চলের কাউন্টার থাকার কারণে আমাদের এখানে যাত্রী কমে গেছে। যাত্রাবাড়ী বাস স্ট্যান্ডের ইলিশ পরিবহনের ফোরম্যান মারুফ হাসান মামুন বলেন, ঈদের ছুটির তুলনায় যাত্রী খুবই কম। সারাদিনে আমার এখান থেকে বরিশালগামী ২ টি বাস ছেড়ে গেছে।
কুমিল্লা যাবেন খোরশেদ আলম (৩৮)। চাকরি করেন ঢাকার একটি বেসরকারী কোম্পানিতে। তিনি বলেন, আজকেতো তেমন হুড়াহুড়ি নাই। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে চলে এসেছি। ভিড় নেই ভালো লাগছে। যাত্রাবাড়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে সপরিবারে বরিশাল যাচ্ছেন বয়স্ক রহিমা বেগম।
তিনি বলেন, সামনে অনেক ভীড় হবে তাই আমরা আগে ভাগে চলে যাচ্ছি। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে কথা হয় মাদারীপুরগামী যাত্রী মাহমুদুল হাসানের সাথে।
তিনি বলেন, ধোলাইপাড় কাউন্টারে সিট না থাকার কারণে টার্মিনালে চলে এসেছি। যাত্রী না থাকার কারণে বাস ছাড়তে বিলম্ব হওয়ায় আমরা যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে চট্টগ্রামগামী বাস চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, যাত্রী কম থাকার কারণে সিট খালি রেখেই আমাদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে এবং ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে খালি গাড়ি নিয়ে।
এ ব্যাপারে ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ট্রাফিক উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আজাদ রহমান বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীরা যেনো নির্ভীঘ্নে,নিরাপদে, যানজটমুক্তভাবে বাড়ি যেতে পারেন সেব্যাপারে আমাদের সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ট্রাফিকের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং লাইসেন্স বিহীন চালক দ্বারা যেনো পরিবহন চালানো না হয় সে ব্যাপারে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।