
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ধলেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে এই অবৈধ কার্যক্রম। এর ফলে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
নদী থেকে অবৈধভাবে এই মাটি কাটার কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হচ্ছে এবং এতে স্থানীয়ভাবে ভূমির স্বাভাবিক ধ্বংসপ্রাপ্তি হতে পারে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কিছু অসাধু ইটভাটার মালিক এবং স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা এ অপকর্ম চালাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা নদীর তীরে অবস্থিত মাটি কেটে তা ইটভাটায় বিক্রি করছে, যা একদিকে নদী ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে, অন্যদিকে প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় ঘটাচ্ছে। তাদের দাবি, নদী থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার ফলে নদী তীরের সুরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ছে ।
এ বিষয়ে পরিবেশ রক্ষা উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. হোসেন বলেন, নদী থেকে মাটি কাটা শুধু পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক নয়, এটি ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকেও ত্বরান্বিত করতে পারে। নদীর ভাঙন বাড়ানোর পাশাপাশি এটি বন্যা, ভূমিধসসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ হতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ ডিআইডব্লিউটিএ এর উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন মজুমদার জানান, আমরা অবৈধভাবে নদী থেকে মাটি কাটার বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যে অভিযান চালাচ্ছি এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছি। যারা নদী থেকে মাটি কাটছে এবং তা বিক্রি করছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশের ক্ষতি হতে দেওয়া যাবে না।’
এদিকে, নদী তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে অসাধ ব্যবসায়ীরা বছরের পর বছর অবাধে ভাবে নদী থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে, জেগে ঘুমাচ্ছে প্রশাসন। যা তাদের জীবিকা এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তারা সরকারের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা এবং তা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার ফলে নদীর ইকোসিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং পরবর্তীতে স্থানীয় এলাকার পানি সরবরাহ ব্যবস্থাও দুর্বল হতে পারে।
এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে পরিবেশের উপর ক্ষতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।