মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ ৯ আষাঢ় ১৪৩২

শিরোনাম: ইরানে মার্কিন হামলা, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি   নিবন্ধনের জন্য ইসিতে ১৪৭ রাজনৈতিক দলের আবেদন   চীনের দারস্থ যুক্তরাষ্ট্র, হরমুজ প্রণালী খোলা রাখতে ইরানকে চাপের অনুরোধ   সাবেক সিইসি নুরুল হুদা পুলিশ হেফাজতে   ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় ফর্মুলায় নারাজ বিএনপিসহ ৩ দল   সাবেক তিন সিইসি ও শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা   উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মায় অবাধে ইলিশ শিকার
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ৪:১২ পিএম

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শরীয়তপুরে পদ্মা নদীতে অবাধে ইলিশ ধরছেন অসাধু জেলেরা। শিকারের পর সেই মাছ নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন মাছের বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। 

জেলায় প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌ পুলিশের অভিযান সত্ত্বেও জেলেরা এ অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ ধরায় উৎপাদন বাড়ানোর সরকারি উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে না বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন নাগরিকরা। 

শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুর জেলার ওপর দিয়ে ৭১ কিলোমিটার পদ্মা ও মেঘনা নদী প্রবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে পদ্মা নদীর নড়িয়ার সাধুর বাজার এলাকা থেকে ভেদরগঞ্জের কাচিকাটা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ঐ অভয়াশ্রমে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের জাল ফেলা নিষেধ। ঐ এলাকায় যাতে কোনো জেলে মাছ শিকার না করতে পারেন, তার জন্য মৎস্য বিভাগ থেকে জেলে পল্লিগুলোতে প্রচারণাও চালানো হয়েছে। 

শরীয়তপুর জেলায় ২৫ হাজার ৫০০ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। জেলেরা যাতে ঐ সময়ের মধ্যে জাটকা নিধন বন্ধ রাখেন ও অভয়াশ্রমে মাছ শিকার না করেন, তার জন্য ১৫ হাজার ৪৪৬ জন জেলেকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৪০ কেজি করে চাল দিচ্ছে মৎস্য বিভাগ। তার পরও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কিছু জেলে পদ্মা নদীর ইলিশের অভয়াশ্রমে মাছ শিকার করছেন। শিকার করা জাটকা নড়িয়ার সুরেশ্বর, সাধুর বাজার, ওয়াপদা বাজার, ভেদরগঞ্জের কাচিকাটা, চরভাগা, স্টেশন বাজার, গৌরাঙ্গ বাজারসহ জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। 

সরেজমিনে নড়িয়ার সাধুর বাজার, চণ্ডিপুর ও সুরেশ্বর এলাকায় পদ্মা নদীতে দেখা যায়, দিনে ও রাতে জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করছেন। অধিকাংশ জেলেই নদীতে ইলিশ শিকারের জাল ফেলছেন। জালে চার-ছয় ইঞ্চি সাইজের জাটকা ধরা পড়ছে। পরের দিন সকালে বিভিন্ন বাজারে দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা কেজি দরে এসব মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। 

আরেক জেলে বলেন, সব সময় নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া যায় না। ইলিশ প্রজননের সময় ও বেড়ে ওঠার সময় ভাটি থেকে আমাদের অঞ্চলের দিকে আসে। আবার সাগরে ফিরে যায়। এই যাওয়া আসার মাধ্যেই আমরা কিছু মাছ শিকার করতে পারি। আমাদের সাগরের দিকে গিয়ে মাছ শিকার করার সক্ষমতা নেই। তাই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই নদীতে মাছ শিকার করতে হচ্ছে।

শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, শরীয়তপুরের পদ্মা নদীতে ২০ কিলোমিটার এলাকা ইলিশের অভয়াশ্রম। ছোট ইলিশকে বড় হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য দুই মাস সেখানে কোনো ধরনের জাল ফেলা যাবেনা। ঐ স্থানে নির্বিঘ্নে ইলিশ বৃদ্ধি করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। তার পরও কিছু অসাধু জেলে আমাদের অগোচরে নদীতে মাছ শিকার করছেন বলে তথ্য পেয়েছি। শিগগিরই আইন অমান্যকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com