প্রকাশ: শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩৩ AM

মাগুরার নবনির্মিত দুটি মডেল মসজিদে আজান ও জুমার নামাজের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হলো। মুসল্লিরা নতুন মসজিদের প্রথম আজানের ধ্বনি শুনে নামাজ পড়ার জন্য ভিড় জমান।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মহম্মদপুর উপজেলা মডেল মসজিদ ও শালিখা উপজেলা মডেল মসজিদে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। দুটি মসজিদেই ছিল মুসল্লিদের ব্যাপক ভিড়।
দুটি মসজিদে দুই হাজারের অধিক মুসল্লি জুমার নামাজ আদায় করেন।
মহম্মদপুর উপজেলা মডেল মসজিদে নামাজ আদায় করেন জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকের, জেলা বিএনপির সদস্য মৈমুর আলী মৃধা, উপজেলা জামায়াতের আমির নূর আহম্মেদ, কাজী সালিমা হক মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইউনুস আলী সরকারসহ সহস্রাধিক মুসল্লি। ইমামতি করেন পেশ ইমাম ও খতিব হাফেজ মুফতি মো. মাহমুদুল হাসান।
অপরদিকে শালিখা উপজেলা মডেল মসজিদে মাওলানা মো. সাইমুন হোসেনের ইমামতিতে নামাজ আদায় করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বনি আমিন, শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ওলি মিয়াসহ হাজারো মুসল্লি।
মহম্মদপুর উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হাফেজ মুফতি মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, আজ সহস্রাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণে প্রথম জুমার নামাজ আদায় হলো এই মসজিদে। এখন থেকে নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ হবে।
নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জানান, অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদটি দেখলেই প্রাণভরে যায়। পরিবেশটা অনেক সুন্দর। যে কারণে মুগ্ধ হয়ে এখানে নামাজ পড়তে এসেছেন।
ইসলামী ফাউন্ডেশন মাগুরার উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মুজিব উল্লাহ ফরহাদ জানান, মহম্মদপুর উপজেলা মডেল মসজিদ ও শালিখা উপজেলা মডেল মসজিদে প্রথম জুমার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে থাকবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। রয়েছে নারী-পুরুষের আলাদা অজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা। লাইব্রেরি, গবেষণাকেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয়কেন্দ্র, কোরআন হেফজখানা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মরদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থাকবে। এছাড়াও রয়েছে ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা।