সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ ৯ চৈত্র ১৪৩১

শিরোনাম: একনেকে ২১ হাজার কোটি টাকার ১৫ প্রকল্প অনুমোদন   প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরকে কেন্দ্র করে আসতে পারে বড় ধরনের ঘোষণা   বাড়িতে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার, মুখ খুললেন সেই বিচারপতি   হাসিনার মতোই একাত্তরে নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছিলেন শেখ মুজিব   ভারতীয় বাবা-মেয়েকে যুক্তরাষ্ট্রে গুলি করে হত্যা   সেনাবাহিনী সব সময় জুলাই আহতদের পাশে থাকবে: সেনাপ্রধান   সেনাবাহিনী পক্ষে ছিল বলেই হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে : রিজভী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
‘লাশ তুইল্যা কি অইবো, আমার সোনার ধনরে পাইয়াম?’
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৩৮ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট বিকেলে গাজীপুরের মাওনা এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন গার্মেন্টসকর্মী জুয়েল মিয়া। ওইদিন রাতেই ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয় নিজ গ্রাম ময়মনসিংহের আঁচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামে। 

পরে এ হত্যা ঘটনায় গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় খুনি শেখ হাসিনাসহ ১১০ জনের নামে মামলা করা হলে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ দেন আদালত। 

সোমবার সকালে আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস পর লাশ উত্তোলনে গেলে নিহত জুয়েলের পরিবারের লোকজন আপত্তি জানায়।

এ অবস্থায় কয়েকঘণ্টা অপেক্ষা করেও লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে আসেন নান্দাইল উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মো. ফয়জুর রহমান। এর আগে মামলার বাদী নিহতের স্ত্রীর কাছ থেকে একটি লিখিত নেওয়া হয়।

নিহতের পরিবার,থানা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গত ৫ আগস্ট জুয়েল নিহত হন গাজীপুরের মাওনা এলাকায়। নিহত জুয়েল মিয়া ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই খাকধারা গ্রামের মো. আব্দুল হাইয়ের ছেলে।

দুই ছেলের মধ্যে জুয়েল বড়। প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি কর্মের জন্য গাজীপুরের মাওনা এলাকার ওয়াপদা মহল্লায় থাকতেন। সেখানে তিনি একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ৩ সেপ্টেম্বর স্ত্রী জোবায়দা বাদী হয়ে শেখ হাসিনা,ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১১০জনকে নামে ও অজ্ঞাত কমপক্ষে ২০০ জনকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়।

এ মামলাটি তদন্ত করছেন ওই থানার উপপরিদর্শক এ আর এম সাফায়েত উসমান। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে এসেছিলাম লাশ তুলতে। কিন্তু পরিবারের আপত্তির মুখে পারা যায়নি।

নিহত জুয়েলের মা জিনুয়ারা বেগম বলেন, লাশ তুইল্যা আর কি অইবো, আমি আর আমার সোনার ধনরে পাইয়াম? বরঞ্চ অহন আর সহ্য করতাম পারতাম না।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মো. ফয়জুর রহমান বলেন, নিহত জুয়েলের পরিবারকে কয়েক ঘণ্টা বুঝিয়েও ব্যর্থ হয়েছি আমরা। পরে সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হই। আদালতের নির্দেশে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com