প্রকাশ: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৩৮ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট বিকেলে গাজীপুরের মাওনা এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন গার্মেন্টসকর্মী জুয়েল মিয়া। ওইদিন রাতেই ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয় নিজ গ্রাম ময়মনসিংহের আঁচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামে।
পরে এ হত্যা ঘটনায় গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় খুনি শেখ হাসিনাসহ ১১০ জনের নামে মামলা করা হলে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ দেন আদালত।
সোমবার সকালে আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস পর লাশ উত্তোলনে গেলে নিহত জুয়েলের পরিবারের লোকজন আপত্তি জানায়।
এ অবস্থায় কয়েকঘণ্টা অপেক্ষা করেও লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে আসেন নান্দাইল উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মো. ফয়জুর রহমান। এর আগে মামলার বাদী নিহতের স্ত্রীর কাছ থেকে একটি লিখিত নেওয়া হয়।
নিহতের পরিবার,থানা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গত ৫ আগস্ট জুয়েল নিহত হন গাজীপুরের মাওনা এলাকায়। নিহত জুয়েল মিয়া ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই খাকধারা গ্রামের মো. আব্দুল হাইয়ের ছেলে।
দুই ছেলের মধ্যে জুয়েল বড়। প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি কর্মের জন্য গাজীপুরের মাওনা এলাকার ওয়াপদা মহল্লায় থাকতেন। সেখানে তিনি একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ৩ সেপ্টেম্বর স্ত্রী জোবায়দা বাদী হয়ে শেখ হাসিনা,ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১১০জনকে নামে ও অজ্ঞাত কমপক্ষে ২০০ জনকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়।
এ মামলাটি তদন্ত করছেন ওই থানার উপপরিদর্শক এ আর এম সাফায়েত উসমান। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে এসেছিলাম লাশ তুলতে। কিন্তু পরিবারের আপত্তির মুখে পারা যায়নি।
নিহত জুয়েলের মা জিনুয়ারা বেগম বলেন, লাশ তুইল্যা আর কি অইবো, আমি আর আমার সোনার ধনরে পাইয়াম? বরঞ্চ অহন আর সহ্য করতাম পারতাম না।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মো. ফয়জুর রহমান বলেন, নিহত জুয়েলের পরিবারকে কয়েক ঘণ্টা বুঝিয়েও ব্যর্থ হয়েছি আমরা। পরে সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হই। আদালতের নির্দেশে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।