
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘টি আই আবু নাঈমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মসজিদ ভাঙার হুমকির অভিযোগ’ শিরোনামের সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আবু নাঈম সিদ্দিকী, উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রথমত, আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। মহাসড়কের যানবাহন থেকে কোনো অবৈধ অর্থ আদায় কিংবা মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার কোনো ঘটনাই ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমি সবসময় স্বচ্ছতা বজায় রেখেছি।
দ্বিতীয়ত, মসজিদ ভাঙার হুমকির যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটিও অসত্য। প্রকৃতপক্ষে, মহাসড়কের পাশে অবৈধভাবে কিছু দোকান নির্মাণ করা হয়েছিল, যা সওজ কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী উচ্ছেদ করেছে। এছাড়া, মসজিদের টয়লেটের পাশে একটি থাকার ঘর নির্মাণের চেষ্টা করা হলে, সেটি যথাযথ নিয়ম না মেনে করা হচ্ছিল বিধায় আমি আপত্তি জানিয়েছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু ব্যক্তি উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমার সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রয়েছে এবং কখনোই কোনো মসজিদের ক্ষতি করার চিন্তাও করি না। বরং আমি চাই, সঠিক নিয়ম মেনে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হোক, যাতে জনসাধারণ কোনো অসুবিধার সম্মুখীন না হয়।
উল্লেখ্য যে অভিযোগকারী আখি নুর চৌধুরী মসজিদকে পুঁজি করে মসজিদের পিছনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের, জায়গায় উচ্ছেদের পর পুনরায় স্থায়ীভাবে নির্মিত ৩টি দোকান, গরুর খামার ও বসতঘর টিকিয়ে রাখতেই ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা-বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়েছেন, যার সত্যতা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে বলে আমি আশা করি।
আমি সংশ্লিষ্ট সকল গণমাধ্যমকে অনুরোধ করছি, বিভ্রান্তিকর তথ্যের ভিত্তিতে কোনো সংবাদ প্রচার না করার জন্য এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার জন্য। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই, এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত সত্য প্রকাশ করুক।
ধন্যবাদান্তে,
মো. আবু নাঈম ছিদ্দিকী
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই)
ইনচার্জ
শিমরাইল পুলিশ ক্যাম্প, নারায়ণগঞ্জ।