প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:১৮ পিএম

কুষ্টিয়ায় মোকামে চালের দাম বাড়ার জন্য বিএনপির কয়েকজন নেতার চাঁদাবাজিকে দায়ী করেছেন দলটির পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশা অনুযায়ী পদ-পদবী না পাওয়া অংশের একাধিক নেতা।
একই সাথে জেলাজুড়ে চাঁদাবাজি, হাট-ঘাট দখল, ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়ন্ত্রণও বর্তমান কমিটির নেতারা করছেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাদের অপকর্ম থেকে মসজিদের জায়গা ও বিএটি (ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যকো) দখলও বাদ পড়েনি বলে অভিযোগ করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
গত ৪ নভেম্বর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকে পদ বঞ্চিত ও অবমূল্যায়িত নেতাকর্মীরা ওই কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে আসছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আয়োজনে কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাচ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। এ কর্মসূচি সামনে রেখে দলের অবমূল্যায়িত ও পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা বেলা সাড়ে ১২বারটায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির সামনে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সকাল দশটা থেকে শিল্পকলা একাডেমির ভেতরে কর্মশালা চলতে থাকে। অপর দিকে বেলা ১২বারটার দিকে শহরের ইসলামিয়া কলেজ মাঠে জড়ো হয়ে শতাধিক নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। শহরের এনএস রোড প্রদক্ষিণ করে সাড়ে ১২টার দিকে শিল্পকলা একাডেমির প্রধান ফটকের সামনে যায়। তারা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। নেতাকর্মীরা ফটকের সামনে শ্লোগান দিতে থাকে। হট্টগোল সৃষ্টি হয়। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেহাবুর রহমান পুলিশ নিয়ে ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে যান।
এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের কেউ কেউ জোর করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। পরে শিল্পকলা একাডেমির প্রধান ফটকের সামনেই সমাবেশ করেন তারা। বেলা সোয়া একটার দিকে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করে তারা চলে যান।
এর আগে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে গত ৭ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। ঢাকা ও কুষ্টিয়ায় তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচির মধ্যে ছিল অনশন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।