প্রকাশ: বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৫৫ পিএম

গত সরকারের আমলে বানানো সাইবার সিকিউরিটি আইনে করা মামলার ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ আসামি শিগগিরই খালাস পাচ্ছেন। এমনটাই জানিয়েছেন আইসিটি নীতি উপদেষ্টা ফাইয়াজ আহমেদ তৈয়্যব।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে আনা পরিবর্তনগুলো তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ করে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয় বিগত হাসিনা সরকার। এবার সেই আইন বাতিল করে এরই মধ্যে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বলা হচ্ছে আগের সরকারের করা আইনের ২০, ২১, ২৪, ২৫, ২৯ সহ ৯টি ধারা বাতিল করা হয়েছে। এতে শিগগিরই খালাস পাবেন আইসিটি আইনে করা মামলার ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ আসামি।
ফাইয়াজ আহমেদ বলেন, ‘গণমাধ্যমসহ সব পেশাজীবীর মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সুরক্ষা দিবে নতুন অধ্যাদেশ। তবে, চারটি অপরাধকে রাখা হয়েছে জামিন অযোগ্য হিসেবে।’
নতুন অধ্যাদেশ ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেট প্রাপ্তির অধিকার ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে, সাইবার স্পেসে ঝুঁকি মোকাবিলার উদ্যোগ স্পষ্ট করা হয়েছে, যৌন হয়রানিকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, কনটেন্ট ব্লকের দিক থেকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার কারণে ব্লক করার কারণ জানানোর বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে, তল্লাশির স্বার্থে জব্দ করা জিনিসপত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে, জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে কিছু প্রকাশ করা যাবে না, এমন অনুরোধ উপেক্ষা করা হয়েছে।
আগামীতেও কোনো সংযোজন-বিয়োজন করার প্রয়োজন হলে তা করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন আইসিটি নীতি উপদেষ্টা ফাইয়াজ আহমেদ তৈয়্যব।
গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে সারা দেশে যত মামলা রয়েছে সব প্রত্যাহার করা হবে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হবে। একইসঙ্গে সাইবার সিকিউরিটি আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে।