রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহতে সমবেদনা জানাতে ইউনূসকে গুতেরেসের ফোন   ভোটের মাঠে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কা ইসির, কঠোরভাবে দমনের নির্দেশ   ভুরুঙ্গামারীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা    মোংলায় অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ   টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত   শাহাদতবার্ষিকীতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন   বুদ্ধিজীবী দিবসে মৌলভীবাজারে নানা বয়সী মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন   
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763085968.gif
কুষ্টিয়ায় দেশের অন্যতম বৃহৎ সেচ প্রকল্প জিকের নাজুক অবস্থা
রিয়াজুল ইসলাম, কুষ্টিয়া
প্রকাশ: রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:১২ পিএম

কুষ্টিয়ায় দেশের অন্যতম বৃহৎ গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা খুবই নাজুক। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পদ্মাপাড়ে এই প্রকল্প আওতায় এক সময় কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ঝিনাইদহ ও মাগুরা চার জেলার কৃষক পানি পেলেও এখন কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা দুটি জেলাতে পানি সরবরাহ কঠিন হয়ে পড়েছে। 

২০২৪ সালে নষ্ট হওয়া দুইটি পাম্প সংস্কার না হওয়াসহ পদ্মার পানির স্তর কমে যাওয়ায় একটিও পানির পাম্প কাজে আসছে না। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ফসল উৎপাদনসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষি জমিতে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, ৬০ দশকে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার পদ্মা নদীর পাশে তৈরি গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া হতো। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার ১৩টি উপজেলার সেচের জন্য পানি সরবরাহ করা হতো। 

তবে এখন কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় জেলায় মাত্র ৩০-৪০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পাচ্ছেন খেটে খাওয়া কৃষকরা। বছর খানেক আগে দুটি সেচ পাম্প নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর আর সংস্কার করা হয়নি। আবার শুস্ক মৌসুমে পদ্মার পানি স্তর নেমে যাওয়ায় সচল একটি পাম্প কাজে আসছে না। আগে বিঘা প্রতি ২৮০ টাকার বছর জুড়ে সেচ সুবিধা পেলেও এখন বড় সংকটের মধ্যে দিন যাপন করতে হচ্ছে কৃষকদের। 

এমনকি আমন মৌসুমে পানি পেলেও বোরো মৌসুমে পানি না পাওয়ায় বাড়ছে খরচ। এছাড়া অনাবাদী হয়ে পড়ে থাকছে অনেক জমি। 

কৃষকরা বলছেন, সরকারি পানি পেলে তাদের খরচ কমে যাবে। যদি তেলে মাধ্যমে নিজেরা সেচ বসিয়ে পানি তোলে তাহলে তাদের ব্যাপক হারে খরচ বাড়ছে। সে তুলনায় ধান বিক্রি করার পর অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে তাদের। 

এ বিষয়ে পাম্প হাউজ ভেড়ামারা নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভোরের পাতাকে বলেন, দুইটি বিকল হওয়া পাম্পের মধ্যে একটি পাম্প ২০২১ সালে জাপানি মেকানিকদের সাথে চুক্তি হয়েছিল এবং কাজগুলো ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। বর্তমানে এটি চলমান রয়েছে। 

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে নষ্ট হওয়া পাম্পটি সংস্কার করে চালু করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড মরফলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রইচ উদ্দিন ভোরের পাতাকে বলেন, এ বছর পানির উচ্চতা ৪ পয়েন্টের উপরে থাকলে একটি সেচ পাম্প জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে চালানো সম্ভব হবে।
 
জিকে ব্যবস্থাপনা ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাফায়েত হোসেন পল্টু ভোরের পাতাকে বলেন, ৬০ দশকের বিভিন্ন জায়গায় ক্যানেল ভরাট ও দখল হয়েছে গেছে। অতি সত্তর যদি কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ না নেয় তাহলে কৃষকরা আগামী দিনে সেচ চালু হলেও পানি নিয়ে সমস্যায় ভুগতে পারেন।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »





http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763086027.gif

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1765376223.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763085829.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763085901.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763091212.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com