
পিআর পদ্ধতিতে (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)।
তিনি বলেছেন, ‘এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তাদের দুর্বলতা কোথায়? পিআর পদ্ধতির নির্বাচন হতে বাঁধা কোথায়?’
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের ৫ম জাতীয় কনভেনশনে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, ‘চাঁদাবাজ ও খুনীদের এ দেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। যারা অসংখ্য মায়ের বুক খালি করেছে তাদের যারা নির্বাচনে আহ্বান করে তারা জনগণের সাথে ধোঁকাবাজি করছে। তাদের ধোঁকাবাজি জনগণ বুঝতে পারছে।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘অন্য রাজনৈতিক দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।
পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠনে কেউ ভয় পায় কেন? উচ্চকক্ষ হোক আর নিম্নকক্ষ হোক, সব নির্বাচন পিআর পদ্ধতির হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইসলামী নীতি আদর্শের মাধ্যমেই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি। আগামী নির্বাচনে ইসলামী নীতি আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে। এজন্য ইসলামের পক্ষে যুবকদের নিয়ে আসতে মাসে কমপক্ষে ৪ জনকে দাওয়াত দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘৫৩ বছরে যারা শাসন করেছে তারা নতুন করে কোনো আশা দেখাতে পারবে না। এখন তাদের পরিবর্তন করতে হবে। ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বাতিলকে পরাজিত করতে হবে। মায়ের কোল খালি করা আর বিদেশে টাকা পাচার করে বেগমপাড়া তৈরির রাজনীতি দেশের মানুষ চায় না।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, প্রকৌশলী মারুফ শেখ ও মাওলানা রহমাতুল্লাহ বিন হাবিবের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় যুব কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রেজাউল করীম। সম্মেলন ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ।
বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মোকামিয়ার পীর সাহেব মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবদুল খায়ের ও কে এম আতিকুর রহমান।
বক্তব্য শেষে রেজাউল করীম ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। এ সময় সভাপতি হিসেবে আতিকুল রহমান মুজাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মানসুর আহমেদ সাকীর নাম ঘোষণা করা হয়।