প্রকাশ: সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:০০ পিএম

রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। নিজ দলের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
অবশেষে লিবারেল পার্টির প্রধান হিসেবে তিনি সোমবার পদত্যাগ করতে পারেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে।
তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে গ্লোব ও মেইল।
সূত্রগুলো গ্লোব ও মেইলকে জানিয়েছে যে তারা নির্দিষ্ট করে জানে না যে ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা কখন দিবেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বুধবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগেই তিনি পদত্যাগ করবেন। তবে এ নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছ থেকে জানতে জানতে চাওয়া হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া লিবারেল পার্টির নতুন প্রধান নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন না পদত্যাগ করবেন- সেই সম্পর্কেও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
লিবারেল পার্টি অব কানাডার প্রধান হিসেবে ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রুডো। এরপর ২০১৫ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। টানা ৯ বছর ধরে তিনি এ পদে আছেন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনীতিসহ নানা চাপে পড়েছেন ট্রুডো।
গত বছরের ডিসেম্বরে কানাডার উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগ করেন। ট্রুডোর সঙ্গে বিরোধের জেরেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। একসময় ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন ফ্রিল্যান্ড।
ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের পর ট্রুডোর সংকট আরও বেড়ে যায়। শেষমেশ দলের প্রধান হিসেবে ট্রুডো পদত্যাগ করছেন বলে আভাস এলো।
রয়টার্স বলছে, ট্রুডোর সম্ভাব্য এই পদত্যাগের ফলে দেশটির ক্ষমতাসীন এই দলটিকে এমন এক সময়ে স্থায়ী প্রধান ছাড়াই রাজনৈতিক ময়দানে ছেড়ে দেবে যখন জরিপগুলোতেও দেখা যাচ্ছে যে— চলতি বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে হওয়া নির্বাচনে লিবারেলরা রক্ষণশীলদের কাছে খারাপভাবে হেরে যাবে।
অবশ্য ট্রুডোর পদত্যাগের ফলে নতুন সরকার গঠনের জন্য দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানানোরও সম্ভাবনা রয়েছে।