সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২১, ৯:১৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে এক গভীর সঙ্কটের মধ্য দিয়ে আমাদের বিগত ২০২০ সাল অতিক্রম করতে হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এবং উপর্যুপরি বন্যা আমাদের অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। আমরা সেসব ধকল দৃঢ়তার সঙ্গে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু করোনা ভাইরাসজনিত সঙ্কট থেকে বিশ্ব এখনও মুক্ত হইনি।
বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান মেয়াদে দুই বছর পূর্তি ও তৃতীয় বছরে পদার্পণ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে একথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং মাঠ প্রশাসনের সদস্যসহ সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ দরিদ্র-অসহায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। আমি সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে আমি তাঁদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।
জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরুতে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলাম যে দেশবাসীর সহায়তায় আমরা এই দুর্যোগ সফলভাবে মোকাবিলা করবো, ইনশাআল্লাহ। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে দেশবাসী এ দুঃসময়ে আমার এবং আমার সরকারের পাশে ছিলেন। আপনারা আমাদের এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছেন। এ ধরনের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভবিষ্যতেও আপনাদের পাশে পাবো- এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিবিন্ন শ্রেণি-পেশার যেসব মানুষ দরিদ্র-অসহায় মানুষের সহায়তায় পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদেরও ধন্যবাদ তিনি।
করোনা অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারি ইতোমধ্যেই বিশ্ব অর্থনীতিতে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। অনেক দেশের অর্থনীতিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতির মুখে পড়েছে।
অর্থনৈতিক ক্ষতি পোষাতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন নীতি-সহায়তা এবং বিভিন্ন উদার-নৈতিক আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে আমরা অর্থনীতির চাকা সচল রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত আমরা এক লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি, যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
শেখ হাসিনা বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা সে প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রেখেছি। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় আড়াই কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আমরা নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সহায়তার আওতায় এনেছি। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়ানো হয়েছে।