প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ১ হাজার টাকা করে কিট এলাউন্স দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২১, ৯:০৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ১ হাজার টাকা করে কিট এলাউন্স দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি ও তৃতীয় বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ১ হাজার টাকা করে কিট এলাউন্স দেওয়া হবে। এজন্য ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। দেশের ৭ হাজার ৬২৪টি এমপিও-ভুক্ত মাদ্রাসায় ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬১ জন শিক্ষক-কর্মচারিকে প্রতিমাসে ২৭৬ কোটি টাকা বেতন ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ২০২০ সালে নতুন করে ৪৯৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। ১ হাজার ৫১৯টি এবতেদায়ী মাদ্রাসার ৪ হাজার ৫২৯ জন শিক্ষককে ত্রৈমাসিক ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। দাওয়ারে হাদিস পর্যায়কে মাস্টার্স সমমান দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। শুধু আমাদের দেশেই নয়, গোটা বিশ্বেই একই পরিস্থিতি। তবে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ নেই। অনলাইনে এবং স্কুল পর্যায়ের জন্য টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেওয়া হবে। বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই বিতরণ শুরু হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি টাকা শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকার বৃত্তি-উপবৃত্তি বিতরণ করা হয়েছে। ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় স্নাতক ও সমমানের শ্রেণির আরও ২ লাখ ১০ হাজার ৪৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১১১ কোটি বিতরণ করা হয়।
এই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে এক গভীর সঙ্কটের মধ্য দিয়ে আমাদের বিগত ২০২০ সাল অতিক্রম করতে হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এবং উপর্যুপরি বন্যা আমাদের অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। আমরা সেসব ধকল দৃঢ়তার সঙ্গে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু করোনা ভাইরাস-জনিত সঙ্কট থেকে বিশ্ব এখনও মুক্ত হয়নি। কোভিড-১৯ সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং মাঠ প্রশাসনের সদস্যসহ সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ দরিদ্র-অসহায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। আমি সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে আমি তাঁদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।