প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ৫:২৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীরা চাইলেও সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই, সুযোগও নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
৩০ এপ্রিল) দুপুরে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশই যথেষ্ট। এ ছাড়া সার্বিকভাবে র্যাব, বিজিবি, আনসারবাহিনী কাজ করে থাকে। এ ছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও অগ্রিম তথ্য দিয়ে থাকেন। কোনো সহিংসতা হওয়ার আগেই পুলিশ ও জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। তাহলে প্রার্থীরা সেনাবাহিনী মোতায়েন চাইবেন কেন, সেনাবাহিনী লাগে তো যুদ্ধ করার জন্য। প্রার্থীরা কি যুদ্ধ করবেন, তাহলে সেনাবাহিনী দিয়ে কি হবে?
নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে ও পরে কোনো ধরনের সহিংসতা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা সহিংসতার কাজে জড়িত থাকেন, তাদের কাউকে কখনই ছাড় দেয়া হয় না। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে যদি কোনো কর্মকর্তা ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইসি ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, সব ধরনের সংঘর্ষ কিংবা সহিংসতা ফেরানো সম্ভব না। পুলিশের একার পক্ষে ঘরে ঘরে পাহারা দেয়া সম্ভব না। এতো পুলিশ আমাদের দেশে নেই। একটি দেশের সুখ-শান্তি নির্ভর করে সে দেশের জনগণের ওপর। পৃথিবীর কোনো দেশেই শুধুমাত্র পুলিশ দিয়ে শান্তি রক্ষা করতে পারে না। জনগণের দায়িত্ব আছে, কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে, সেই তথ্য প্রশাসনকে জানালে, প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেবে।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মাসুদ আলম খান, ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আহম্মেদ আলীসহ বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন দফতরের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ অনেকেই
ভোরের পাতা/আরএস