প্রকাশ: বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩, ৮:২৬ পিএম

ব্যানার টাঙানোর মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর দক্ষিণখান নদ্দাপাড়ায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যুবলীগ ও ঢাকা মহা নগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতিসহ অন্তত ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
গত শনিবার নদ্দপাড়ার মেম্বার জসিম উদ্দিন মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ হাবিব হাসানের ১৫ আগস্টের ব্যানার খুলে বিমানবন্দর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু সুফিয়ান খান শ্রাবণের অনুসারীরা প্রধানমন্ত্রীর আগমনের ব্যানার লাগাতে গেলে দক্ষিণখান ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বরাদুল আলম (চান্দু) তাদের ব্যানার খোলার কারণ জিজ্ঞাসা করে।
এ সময় আবু সুফিয়ান খান শ্রাবণ ক্ষিপ্ত হয়ে বরাদুল আলমকে (চান্দু) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারতে থাকে।
এ সময় মার্কেটের দোকানদারসহ অনেকে এগিয়ে এলে আবু সুফিয়ান খান শ্রাবণের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন একটি দল দেশীয় অস্ত্র (লোহার রড, হাতুড়ি, ইট, বাঁশ, লাঠি) নিয়ে বরাদুল আলম (চান্দু) ও জহিরুল ইসলাম জুয়েলের ওপর আতর্কিত হামলা চালায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জহিরুল ইসলাম জুয়েল জানান, এলোপাথাড়ি মারধর করে আমাদের শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে। এছাড়া হাতুড়ি দিয়ে আমার সেজো ভাইকে হত্যার উদ্দেশে মাথায় আঘাত করে মারাত্মক রক্তাক্ত করে।
এ সময় আবু সুফিয়ান খান শ্রাবণ আমাদের প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত আমাদের উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উপজেলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় দক্ষিণ খান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত আবু সুফিয়ান খান শ্রাবণ জানান, এটা দলীয় ঘটনা।
স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান বিষয়টি অবগত আছেন। তিনি জানিয়েছেন ১৪ অক্টোবরের পরে তিনি বিষয়টি মীমাংসা করে দেবেন। এখনি এ বিষয়ে কোনো নিউজ করার দরকার নেই।