প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩, ৮:০৫ পিএম

বরগুনার তালতলীতে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে শতাধিক মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে মাছচাষিদের আড়াই কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। বর্ষা মৌসুম আসলেই প্রবল জোয়ার অতিবৃষ্টিতে মাছচাষিদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। সরকার এসব চাষিদের কোনো আর্থিক প্রণোদনা দেয় না বলে অভিযোগ।
শুক্রবার (১১ আগষ্ট) সকালে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের করমজাপাড়া, কাজিরখালা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,মাছ চাষিদের বোবা কান্না। কয়েক লাখ টাকার মাছ হারিয়ে নির্বাক তারা।
স্থানীয় চাষি ছত্তার শিকদার, শাহজাহান আকন, বেল্লাল পহলান, জাকির খা, মনির খা বলেন, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে মাছের চাষ করেছিলাম। কিন্তু কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ মাছের ঘের তলিয়ে খাল বিল সব এক হয়ে গেছে। চারদিকে শুধু পানি আর পানি। একেকজন মাছ চাষির তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
অনেক চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করা গেল না প্রবল বর্ষণে সব শেষ। এখন কিভাবে তারা ব্যাংক সহ মানুষের পরিষদ করবে সে চিন্তায় কাটছে তাদের দিন।
তালতলী মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হারুন তালুকদার বলেন, টানা কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে তালতলীতে প্রায় শতাধিক মাছের ঘের তলিয়ে গেছে এতে প্রায় আড়াই কোটি টাকার মতো ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নানা দুর্যোগ আসে। এটা দুর্যোগকে সঙ্গী করেই এই এলাকার মৎস্য চাষিরা গলদা, বাগদা ও সাদা মাছ চাষ করে আসছে। দুর্যোগের কারণে চাষিরা সব সময় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। এই ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের আর্থিক সহযোগিতা পায় না। মৎস্য কার থেকে সরকারের প্রতিবছর বিপুল টাকা রাজস্ব পায়। তাই সরকারের উচিত মৎস্য চাষের সাথে জড়িতদের সহযোগিতা করা।
তালতলী উপজেলা মেরিন ফিসারীজ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ওয়ালীউল্লাহ শুভ বলেন, গত তিনদিনের অবিরাম বর্ষণে জেলার এ উপজেলাতে ৬০টি মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে আনুমানিক দেড় কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে চাষিদের।