প্রকাশ: সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২, ১০:৪৩ পিএম আপডেট: ১৫.০৬.২০২২ ৮:৪১ PM

মোহাম্মদ নাসিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। একসময় তিনি আওয়ামী লীগের প্রচারসম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরবর্তীতে প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছিলেন। যে সময় তাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করেছিলেন। তার জীবনের পঞ্চাশ দশক তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি গণমানুষের নেতায় পরিণীত হয়েছিলেন এবং জনগণের অত্যন্ত প্রিয় নাসিম ভাইয়ে পরিণীত হয়েছিলেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭৩৩তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ড. শ্রী বীরেন শিকদার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস এন্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিজের গভর্নিংবডির সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, সিরাজগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
তানভীর শাকিল জয় বলেন, আসলে পিতার জন্য একজন পুত্র কি স্মৃতিচারণ করবে। এর থেকে বেদনার কিছুই হতে পারে না। আব্বা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন দুবছর হলো কিন্তু প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহূর্ত কষ্ট বেড়েই চলছে। মোহাম্মদ নাসিম বাংলাদেশের কোটি মুজিব আদর্শের নেতাকর্মীর কাছে একজন এমপি নাসিম বা মন্ত্রী নাসিম ছিলেন না, তিনি ছিলেন সবার প্রিয় নাসিম ভাই। আওয়ামী লীগের কোটি নেতাকর্মীদের কাছে যদি নেতা নাসিমের কথা জানতে চাওয়া হয় তাহলে তারা সবাই বলবে তিনি ছিলেন আমাদের নাসিম ভাই। এটাই ছিল তার রাজনীতির সবথেকে বড় অর্জন। তিনি আমাদের বার বার বলতেন, আমি আপনাদের কাছে নাসিম ভাই হয়ে থাকতে চাই, আমি এমপি, মন্ত্রী এটা আমার কাছে এতো গুরুত্ব নয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছিল তার একমাত্র অস্তিত্ব। তিনি সাড়া জীবনে একটি কাজই করেছেন এবং সেটা হচ্ছে রাজনীতি। আব্বা রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই পারতেন না। তিনি কখনো ব্যবসা বা চাকরী কিছুই করতে পারেননি। তিনি যখন থেকে ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন এবং পরবর্তীতে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার হয়েছেন এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের যুব সম্পাদক, দফতর সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক হয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার হয়েছেন। এই সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু রাজনীতিটায় করেছেন। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার পিতার মৃত্যুতে সংসদে তার প্রতি আবেগ আপ্লুত হয়ে তার ভাষণে বলেছিলেন যে, তিনি একজন তার বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালেন।