সিরাজগঞ্জের অভিভাবক ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম: ডা. হাবিবে মিল্লাত
প্রকাশ: সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২, ১০:৪৩ পিএম

মোহাম্মদ নাসিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। একসময় তিনি আওয়ামী লীগের প্রচারসম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরবর্তীতে প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছিলেন। যে সময় তাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করেছিলেন। তার জীবনের পঞ্চাশ দশক তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি গণমানুষের নেতায় পরিণীত হয়েছিলেন এবং জনগণের অত্যন্ত প্রিয় নাসিম ভাইয়ে পরিণীত হয়েছিলেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭৩৩তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ড. শ্রী বীরেন শিকদার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস এন্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিজের গভর্নিংবডির সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, সিরাজগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, একটু আগে মোহাম্মদ নাসিমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ শহরে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা শুধু যে সিরাজগঞ্জ শহরে হয়েছে তা কিন্তু নয়, গাজিপুর থেকে শুরু করে সিরাজগঞ্জের সর্বত্র আমরা আমাদের প্রিয় নেতাকে স্মরণ করেছি। শহীদ এম মনসুর আলীর সুযোগ্য সন্তান মোহাম্মদ নাসিম যেভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দৃষ্টান্ত রেখে গিয়েছেন সেজন্য আজ শুধু সিরাজগঞ্জ নয়, সাড়া বাংলাদেশের মানুষ তাকে স্মরণ করছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার যে ভূমিকা রয়েছে সেটা সাড়া বাংলাদেশের মানুষ তাকে স্মরণ করবে। সিরাজগঞ্জের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তিনি যেসকল ভূমিকা রেখেছেন তার জন্য আমরা সিরাজগঞ্জবাসী সব সময় তাকে স্মরণ করি। আমাদের মতো যারা নতুন রাজনীতিতে এসেছে তাদেরকে তিনি গাইড করেছেন। সিরাজগঞ্জের একজন অভিভাবক ছিলেন তিনি, তাই আমরা এখন একজন অভিভাবকের অভাব বোধ করি। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে, জেলে যেতে হয়েছে এবং অনেক সময় তিনি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। করোনাকালীন সময়ে ২৯ মার্চ তিনি সর্বশেষ সিরাজগঞ্জে যান এবং আমি তার সাথে থেকে সিরাজগঞ্জে করোনা টেস্টের জন্য করোনা ল্যাবের উদ্বোধন করেছিলাম। তারপর থেকে তিনি হটাত অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে জানতে পারি তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। তার মৃত্যুতে আমাদের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।