প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ৪:৩৭ পিএম

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুনে দগ্ধ ৭০ জনকে নেয়া হয়েছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, তবে এই হাসপাতালে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট বন্ধ গত বছরের মার্চ থেকে। এতে দগ্ধরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এজন্য সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা।
শেবাচিম পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, সকাল থেকেই তিনি বিষয়টি মনিটরিং করছেন। লঞ্চের আগুনে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক সঙ্কটে তারা রোগীদের সবাইকে চিকিৎসা সেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন।
দগ্ধ আলামিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন তার স্বজন জলিল উদ্দিন। তিনি বলেন, কোনো রকম মলম দিয়ে চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকও নেই এখানে।
শেবাচিমের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বলছেন, তাদের মধ্যে ক’জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দ্রুত পাঠানো হবে। আহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরা রয়েছেন। তাদের কারও কারও শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।
হাসপাতালের নার্স রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, বার্ন ইউনিটটি বন্ধ থাকায় রোগীদের সার্জারি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সেখানে মেঝেতে সেবা নিচ্ছেন অনেকে। হঠাৎ রোগীর চাপ বাড়ায় কাউকে কাউকে রাখা হয়েছে সিঁড়িতে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে একজন চিকিৎসক ছিলেন। ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল নগরীর কালীবাড়ি রোডে বেসরকারি মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর এক বছর আট ১ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো চিকিৎসক দেয়া হয়নি। ফলে চিকিৎসকহীনতায় হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ বন্ধ রয়েছে।
ভোরের পাতা/কে