ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।
এর আগে ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছিলেন ঝালকাঠি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার দে।
সর্বশেষ এ মৃত্যুর সারিতে যোগ হয়েছে মারজিয়া আক্তার নামে এক শিশু।
হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা লঞ্চ দুর্ঘটনায় দগ্ধ মারজিয়া আক্তার নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৭০ ভাগ পোড়া ছিল। মারজিয়াকে ভোরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধদের মধ্যে ৭২ জনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা শুক্রবার সকালে জানান, ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া এলাকায় পৌঁছালে লঞ্চটিতে আগুন লাগে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ইঞ্জিন কক্ষ থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নদীতীরে স্বজনরা ভিড় করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে এই ভিড়। বাড়ছে নদীর তীরে স্বজনদের আহাজারি। এদের মধ্যে বেশিরভাগই জানেন না তাদের প্রিয়জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে।