শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:০৬ পিএম

আজকে শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর সবাইকে জানানো দরকার আমরা আজ কোথায় এসেছি, কিভাবে এসেছি এবং কার নেতৃত্বে এসেছি। বাংলাদেশের যত উন্নয়ন তা শেখ হাসিনার অবদান। শেখ হাসিনা তাঁর পিতার মত অন্তর দিয়ে এ দেশের মানুষকে ভালোবাসে তাই যে কোনে অর্জন শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে উৎসর্গ করেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৬২তম পর্বে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ, বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠাতা, লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আফছার খান সাদেক, কবি ও শিক্ষক আয়শা জাহান নূপুর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ বলেন, আজকে শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর সবাইকে জানানো দরকার আজ আমরা কোথায় এসেছি, কিভাবে এসেছি এবং কার নেতৃত্বে এসেছি। আমরা যে দেশটা পেলাম সেই দেশটার আজ পঞ্চাশ বছর হলো। আমরা যদি সেই ১৯৪৭ সালের আগে যায় তখন এই ভূ-খণ্ডটি ব্রিটিশের অধিনে ছিল। ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পরে দুটি ভূ-খণ্ডে ভাগ হলো একটি ছিল পাকিস্তান আরেকটি ভারত। পাকিস্তান আবার দুটি খণ্ডে বিভিক্ত ছিল। পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান। তখন পূর্ব পাকিস্তানের বাসিন্দারা সব দিক থেকেই দলিত-পিড়িত ছিল। তখন সেন্ট্রালে যে অর্থ ভাগ হতো তার ২০% পেত পূর্ব পাকিস্তান আর ৮০% পেত পশ্চিম পাকিস্তান। এই বিষয়গুলো তখন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপলদ্ধি করতে পারলেন এবং সেই তখন থেকেই পাকিস্তান থেকে বাঙলার মানুষকে তার ন্যায্য অধিকার দেওয়ার লক্ষে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেলেন। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে দেশের রাজনীতির অনেক উত্থান-পতন ও বিবর্তনের সাক্ষী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে চলা এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগ; কিন্তু স্বাধীনতা এনে দেওয়ার পর বেশিদিন দেশের মাটিতে নিঃশ্বাস নিতে পারেননি স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন দেশের বুকেই ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে নিহত হতে হয়েছে তাকে। এতেই ক্ষান্ত হয়নি ঘাতকরা। এরপরও অনেকবার অপশক্তির ছোবলে রক্তাক্ত হতে হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে। বিভিন্ন সময় ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা ছাড়াও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা ও ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহুবার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহ্র রহমতে সব জায়গায় তিনি ঘাতকের হাত থেকে বেঁচে যান যার জন্য আজকের এই বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা বঙ্গবন্ধুর কাক্সিক্ষত সোনার বাঙলার সুবিধা ভোগ করতে পারছি। অবকাঠামোখাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন যেন রূপকথাকে হার মানায়। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, কর্ণফুলী টানেল আজ কল্পনা নয় বাস্তব। গ্রামীণ বাংলার মেঠো পথে আজ কংক্রিটের ছোঁয়া লেগেছে। শহরের সকল সুবিধা ধীরে ধীরে পৌঁছে যাচ্ছে গ্রামে। ভারত-মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা জয় শেখ হাসিনার বুদ্ধিদীপ্ত কূটনীতির সুফল। শেখ হাসিনার জন্য লাল-সবুজের পতাকা আজ মহাকাশের অবস্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধু- ১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। বাংলাদেশের বেকার সমস্যা সমাধানে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশের যত উন্নয়ন তা শেখ হাসিনার অবদান। শেখ হাসিনা তাঁর পিতার মত অন্তর দিয়ে এ দেশের মানুষকে ভালবাসে তাই যে কোনে অর্জন শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে উৎসর্গ করেন।