প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:৪৯ পিএম

১৯৮৬ সালে যাত্রা শুরু করে বেশ সুনামের সঙ্গে ৩৫ বছর পার করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ব বিভাগ। দেশ-বিদেশে অনেক সাফল্যের পাশাপাশি বিভাগটি সেশন জটের ভার বহন করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।
করোনাকালীন সময়ে প্রায় সব বিভাগই সেশন জটের কবলে পরেছে। সিলেবাস কমানো ও অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ার মাধ্যমে এ সমস্যা কাটিয়ে উঠার চেষ্ট চলছে। তবে যেসব বিভাগে ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষা বেশি এবং করোনা দুর্যোগের আগেও সেশন জট ছিল সেসব বিভাগের সেশন জট আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ তাদের অন্যতম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ তম ব্যাচের (২০১৪-১৫ সেশন) প্রায় সব বিভাগেরই স্নাতকত্তর পরীক্ষা শেষ এবং ৪৫ তম ব্যাচ (২০১৫-১৬ সেশন) এর স্নাতকত্তর পরীক্ষা নিকটে। কিন্তু নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে ৪৪ ও ৪৫ উভয় ব্যাচ এখন স্নাতকত্তর পর্যায়ে রয়েছে। ৪৭ তম ব্যাচ (২০১৭-১৮ সেশন) ২০১৯ এর জুনে ২য় বর্ষে উত্তীর্ন হলেও করোনা দুর্যোগ এবং তিন মাস ব্যাপী ফাইনাল পরীক্ষার কারনে ২০২১ এর ডিসেম্বরে তাদের ২য় বর্ষ শেষ করেছে। ৪৮ ব্যাচ (২০১৮-১৯ সেশন) ও ৪৯ ব্যাচ (২০১৯-২০ সেশন) এখন ২য় বর্ষে অবস্থান করছে। সবথেকে জটিলতায় রয়েছে ৪৬ ব্যাচ (২০১৬-১৭ ব্যাচ)। ২০১৭ সালের মার্চে ক্লাস শুরু করে প্রায় পাঁচ বছর পর ব্যাচটি এখন সম্মান ৪র্থ বর্ষে অবস্থান করছে।
শিক্ষক শিক্ষার্থী উভয় মহলই একমত যে ব্যবহারিক ক্লাস পরীক্ষার দীর্ঘ সূত্রীতার কারনেই এই জটের সৃষ্টি। ১২ মাসে শিক্ষাবর্ষ হলেও ফাইনাল পরীক্ষাসহ প্রতিটি ব্যাচের একেকটি শিক্ষাবর্ষে ১৬ থেকে ১৭ মাস এবং কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় লাগছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন যে কিছু শিক্ষক মিডিয়ায় কাজের ব্যস্ততার কারনে ক্লাস পরীক্ষা অনিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়।
সেশন জট কিভাবে কমানো যায় এমন প্রশ্নের উত্তরে নাটক ও নাটতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ বলেন, “সেশন জট কমানোর জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। যদি ব্যবহারিক পরীক্ষা তত্ত্বীয় পরীক্ষার আগে নেওয়া যায় তাহলে জট কমবে। থিওরি পরীক্ষা আমরা নির্ধারিত সময়ে শেষ করলেও ব্যাবহারিক পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে শেষ করা সম্ভব হয় না”।
বিভাগের সাবেক সভাপতি সোমা মুমতাজও ব্যবহারিক পরীক্ষা তত্ত্বীয় পরীক্ষার আগে নেওয়ার পক্ষে। “সম্মান ৪র্থ বর্ষের ফাইনাল প্রোডাকশন এর সময় সকল শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতেও সেশন কিছুটা দীর্ঘায়িত হয়”। নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শেষ করতে শিক্ষকদের জন্যও অনেক সময় অসুবিধা হয়ে যায় ব্যবহারিকের কারনে বলে মন্তব্য করেন বিভাগের সাবেক এই সভাপতি।