মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, আমরা দায় মুক্ত হতে চাই। বুদ্ধিজীবীদের তালিকা যদি করতে না পারি, তবে দায়মুক্ত হব না। আমরা দায় এড়াতে চাই না, পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে চাই। আপনাদের অনুরোধ করব, কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা দিয়ে সহায়তা করুন।
তিনি বলেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এখনো চলছে। গত ২৬ মার্চ নরেন্দ্র মোদি এলে ধর্মের নামে হেফাজত ইসলাম যা করেছে- তা আপনারা দেখেছেন।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, আমরা যারা দেশ জয় করেছি, তারা জয়ের আনন্দে সব ভুলে গিয়েছি। অথচ পাকিস্তানের দোসররা পরাজয়ের গ্লানি ভুলে যায়নি। তারা এখনো এ দেশেই আছেন। আল বদর, আল শামস- এরা এখনো আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। এদের তালিকা করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তালিকা না করতে পারায় এরা আমাদের মাঝে মিশে গেছে।
আমাদের পাঠ্যসূচিতে স্বাধীনতাবিরোধীদের চরিত্র তুলে ধরতে না পারায় এমনটি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান বাহিনী কবে আত্মসমর্পণ করেছে- এমন প্রশ্নে ৯০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উত্তর দিতে পারেনি।
ভিআইপিরা গেলে রাস্তাঘাট বন্ধ হয় এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের ঢাকা শহরে যে পরিমাণ রাস্তাঘাট প্রয়োজন তার ১০ ভাগের একভাগও নেই। এই এক ভাগ রাস্তা দিয়ে আমাদের ১০০ ভাগ লোককে চালাতে হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত মেট্রো রেল না হবে, আন্ডারপাস না হবে, আরও বহু সংখ্যক ফ্লাইওভার না হবে ততদিন কষ্ট করতেই হবে। রাস্তাঘাটে চলাফেরা কাউকে বাধা দেওয়া হয় না। রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে কিছু কিছু লোককে নিরাপত্তার খাতিরে অনেক সময় রাস্তা বন্ধ করা হয়। তবে সেটা ঢালাওভাবে করা ঠিক হবে না।
ভোরের পাতা/কে