
নীতি-আদর্শ, সততা, কর্তব্যপরায়নতা এবং সর্বোপরি নিজের স্বার্থকে সবসময় তুচ্ছজ্ঞান করে দেশের প্রতি, প্রিয় নেত্রীর প্রতি- দলের প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য, সত্য এবং ন্যায়ের পথে স্পষ্টবাদী কন্ঠস্বরের তিনি এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
নিজ কর্মগুনেই যিনি বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনা ভক্ত লক্ষ-কোটি নেতা-কর্মীর কাছে আস্থা-বিশ্বাস, ভাললাগা আর ভালবাসার একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ।
এমন একজন আদর্শীক এবং কঠোর ব্যক্তিত্বের মানুষকে প্রতিনিয়ত যতই কাছ থেকে দেখছি তারকাছে ততই শিখছি, বারবার যতই বোঝার এবং জানার সুযোগ পাচ্ছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। অনেক অজানাকে জানার সুযোগ পাচ্ছি। দেশ, দল এবং নেত্রীর প্রশ্নে তার আপোষহীন মনোভাব আমাদের প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা জোগায়।
বিশেষ করে ১৯৮১ সালে মাননীয় নেত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার পর থেকে তার সকল দুর্গম-দুঃসহ-অন্ধকারাচ্ছন্ন কন্টকাকীর্ণ পথচলার প্রতিটি পদক্ষেপেই যিনি মাননীয় নেত্রীর পাশে অতন্দ্রপ্রহরীর ভুমিকায় থেকেছেন।
আজকের টিক টক এবং বখে যাওয়া প্রজন্ম বাংলাদেশকে যেই রঙ্গিন চোখে দেখছে এই বাংলাদেশ একদিন এমন ছিলনা। একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ রাতারাতি তৈরী হয়ে যায়নি।
আজকের বাংলাদেশ বিনির্মানে জননেত্রী শেখ হাসিনার ৪০ বছর সময় লেগেছে আর এই ৪০ বছরের দুর্গম পথচলায় জননেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ভাই মহান রাব্বুল আল আমিন এর অশেষ কৃপায় বার বার মৃত্যু ঝুঁকি থেকে আঘাত প্রাপ্ত এবং ক্ষত-বিক্ষত হয়েও বারবার প্রাণে বেঁচে গেছেন। নেত্রীর উপর এমন কোন হামলা-মামলা ঘটনা ছিলনা যেখানে বাহাউদ্দিন নাছিম ভাই মৃত্যুকে উপেক্ষা করে নেত্রীর সুরক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন না। বার বার রাজপথে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন- লাঠি-গুলি-টিয়ার সেল বোমা এবং গ্রেনেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে এখনো তিনি শরীরে স্প্রীন্টার বয়ে বেড়াচ্ছেন। বার বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে বাহাউদ্দিন নাছিম ভাই সবসময় একটি প্রাতিষ্ঠানিক ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তিনি একদিনে জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বস্ত ব্যক্তিত্ব হিসেবে তৈরী হননি।
রোদে পুড়ে-বৃষ্টিত ভিজে তিলে তিলে বহুদিনের দুর্গম পথচলায় বাহাউদ্দিন নাছিম এখন আগুনে পোড়া ফিনিক্স পাখি।
এই ৪০ বছরের দুর্গম পথ চলায় বাহাউদ্দিন নাছিম ভাই হয়ে উঠেছেন সময়ের সবচেয়ে সাহসি এবং একটি মৃত্যুঞ্জয়ী নাম।
সততা-মেধা-ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং নেত্রীর প্রতি অবিচল আস্থার একটি পরিক্ষিত শুদ্ধ নাম বাহাউদ্দিন নাছিম তিনি এখন নতুন প্রজন্মের রাজনীতির মানুষের জন্য একজন অনুকরণীয় ব্যাক্তিত্ব।
ব্যক্তি জীবনে তিনি ভদ্র, মেধাবী ,বিনয়ী এবং মানবিকগুনাবলী সম্পন্ন দুই সন্তানের জনক এবং মানব সেবায় সর্বদা নিয়োজিত, সামাজিক,ধার্মিক,বিনয়ী এবং মানবিক ডাক্তার স্ত্রীর গর্বিত স্বামী।
একজন রত্নগর্ভা মা’ এবং একজন আদর্শীক পিতার আদরের সন্তান, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী স্বনামধন্য পাঁচ ভাই এবং দুই বোনের গর্বিত ভাই….
দোয়াকরি মহান রাব্বুল আল-আমিন আপনাকে এবং পরিবারের সকলকে সুস্থতার সাথে শতায়ু দান করুন, এবং আলো হাতে আঁধারের যাত্রী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার চলার পথ মসৃন রাখার কাজে আলোকবর্তিকা হয়ে মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় বেঁচে থাকুন॥
মঙ্গলয় হোক আপনার আগামীর পথচলা……..
(লেখাটি ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে সংগ্রহীত)