
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস আজ। তথ্যপ্রযুক্তির বাহনে চড়ে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এখন দেশ ও মানুষের জীবনকে বদলে দেওয়া সফল এক অভিযাত্রার নাম। একযুগ পূর্তির এই দিনে ডিজিটাল বাংলাদেশে যুক্ত হচ্ছে নতুন পালক। আজ ফাইভ জি যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ।
এই উপলক্ষে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের ফেরিফায়েড ফেজবুক পেজে একটি পোস্ট দেন তিনি।
ফেসবুকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের দেওয়া স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-
ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
- ২০১১ সালেই দেশের তৃণমূলে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ইউনিয়ন পরিষদ তথ্যকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে।
- বর্তমানে সেই ইউনিয়ন পরিষদ তথ্যকেন্দ্র হয়ে উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টার।
- আগে গ্রামের মানুষের জমির খতিয়ান, মাঠ পরচা তুলতে ছুটতে হতো জেলা সদরে।
- এখন ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারে বসে মাত্র ১৫০ টাকা ফিতেই মাঠ পরচা, খতিয়ান পেয়ে যাচ্ছেন তারা।
- এই ডিজিটাল সেন্টার থেকে গ্রামের সাধারণ মানুষকে প্রায় ৩০০ এর অধিক সরকারি সেবা দেওয়া হচ্ছে।
- শুধু ডিজিটাল সেন্টার নয়, স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ করে তোলার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব।
-ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে তৃণমূলে সাধারণ মানুষের জীবন সহজ হয়েছে
-এভাবেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
#DigitalBangladesh #Bangladesh #Bangladesh50
প্রসঙ্গত, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনি ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ক্ষমতায় এসে ঘোষিত সেই ইশতেহার অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইটি সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এছাড়া কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে শিল্প হিসাবে প্রযুক্তিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় তারও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়। ১২ বছর (এক যুগ) পর আজ শহর থেকে দুর্গম-প্রান্তিক এলাকার পিছিয়ে পড়া জনসাধারণের জীবনেও লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া।