প্রকাশ: সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:০২ পিএম আপডেট: ০৬.১২.২০২১ ১০:০৩ PM

দিন যায় দিন আসে, কমিটি যায় কমিটি আসে কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি আসে না সম্মেলনের প্রায় আড়াই বছর পার হলেও। ক্যাম্পাস খোলার পর কমিটি দেওয়ার একটা মৌখিক ঘোষণা থাকলেও তা এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এদিকে কমিটি না থাকার দীর্ঘ এই জটে রাজনীতি বিমুখ হচ্ছেন নেতা-কর্মীরা, কেউবা বিয়ে করে সাংসারিক জীবন-যাপন শুরু করেছেন। যারা এখনো রাজনীতি করে যাচ্ছেন তাদের মনে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে কবে হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি?
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়াারি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ তরিকুল-রাসেল কমিটির দুই গ্রপের সংঘর্ষের কারণে ১৯ ফেব্রুয়ারি কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপর একই বছরের ২০ জুলাই সম্মেলনের পর নতুন কমিটি দেয়ার কথা থাকলেও চাঁদাবাজির অভিযোগে ১৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বিদায় নেন। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক হন লেখক ভট্টাচার্য। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রলীগের সর্ব্বোচ্চ অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জয়-লেখকের ভারমুক্ত করে দিলেও এখন পর্যন্ত তারা এই গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের কমিটি করতে পারেন নি।
দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় অনেক নেতা কর্মীরাই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে থেকে বিমুখ হচ্ছেন, অনেকে আবার নিজ জেলা-উপজেলা ছাত্রলীগে লবিং-তদবিরের মাধ্যমে পদ গ্রহণ করছেন। কমিটির ব্যাপারে নাছোরবান্দা জবি ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতারা। কমিটির আশায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার বাসা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে নিয়মিত যাতায়ত করেই যাচ্ছেন।
কমিটির দীর্ঘসূত্রিতার ব্যাপারে জবি ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা কর্মীর সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী জানান, দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক শৃঙখলা নষ্ট হচ্ছে, রাজনীতি করার আগ্রহ হারাচ্ছে কর্মীরা। আমরা যারা প্রথম বর্ষ থেকে এতদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করে যাচ্ছি তাদের ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে। আরেক কর্মী বলেন, দীর্ঘদিন কমিটি না থাকার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে বিরোধীদলীয় বিভিন্ন সংগঠন বিশৃঙখলা তৈরীর চেষ্টা করলেও ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
জবি ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক আশরাফুল আলম টিটন বলেন, দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় আমাদের নেতা কর্মীদের প্রত্যাশা আরো বেড়েছে, আমরা আশা করি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দ্রুতই কমিটি দিয়ে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করবেন, তারা আমাদের সে ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জিয়াসমিন শান্তা কে ফোন দেওয়া হলে তিনি ১০-১৫ মিনিট পর ফোন দিতে বলেন তবে পরে আবারো ফোন দেওয়া হলে তিনি আর রিসিভ করেন নি।
ভারমুক্ত হওয়ার এতদিনেও কেন এই গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের কমিটি হয়নি এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে বেশ কয়েকবার কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ এর চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায় নি।