শেখ হাসিনার অনুসৃত পথে আমরা আরও অগ্রসর হবো: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
প্রকাশ: সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৫৭ পিএম

বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা বাঙালির অনবদ্য শ্রেষ্ঠ অর্জন। আজকে বিজয়ের মাসে প্রারম্ভে দাঁড়িয়ে, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন করেছে জাতিসংঘ। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য একমাত্র দেশ হিসেবে তিনটি মানদণ্ডই পূরণ করেছে বাংলাদেশ।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৩৮তম পর্বে সোমবার (২৯ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, উন্নয়নের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। এটি একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া। সে কারণেই হাজার বছরের ঐতিহ্য সম্পন্ন আমাদের এই জাতি একটা লম্বা পথ পরিক্রমা অতিক্রম করে বর্তমান এ পর্যায়ে এসেছে। আমরা সোনার বাঙলার যে স্বপ্ন আছে সেটা মানস্পতে ধারণ করে একটা পরিণত বয়সে পৌঁছেছি। এই স্বপ্নটি আমাদের দেখতে শিখিয়েছেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি তার সারাটা জীবন আমাদের পেছনে উৎসর্গ করেছেন। তিনি তার পরিবারকে সময় না দিয়ে আমাদের জন্য সময় অতিবাহিত করেছেন। তিনি এই উৎসর্গগুলো করেছেন একমাত্র তার স্বপ্নের সোনার বাঙলাকে বাস্তবায়ন করবার জন্য। তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার যে আরাধ্য সাধনা বাস্তবায়নের জন্য যে হারকিউলিয়াম টাস্ক তিনি তার কাঁধে নিয়েছেন। এবং এই দুরূহ কাজটি করবার জন্য যে পরিমাপের প্রয়োজন সেটা পরিণত করার ক্ষেত্রে অনেকাংশে সফল হয়েছেন। এই যাত্রা তার অব্যাহত থাকবে এবং এই চিন্তা ধারা থেকেই তিনি ডেল্টা প্লানের বিষয়টি সৃজন করেছেন। পৃথিবীর একমাত্র চীন দেশ বাদে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবার জন্য যে সাহস ও ধৈর্য থাকে সেটি নিতে সক্ষম হয়নি। আমরা জানি এর ফলে আমাদের বেশ কিছু সুবিধা থেকে বঞ্ছিত হবো কিন্তু এর ফলে আমরা যে অর্জনটি ঘটবে তা হবে আমাদের আত্মসম্মান ও বিশ্বের বুকে আমারা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর যে অর্জন সেটা হবে একেবারেই অনন্য।