শনিবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে বাংলাদেশ আজ ‘উন্নয়ন বিস্ময়’
#শেখ হাসিনার অনুসৃত পথে আমরা আরও অগ্রসর হবো: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। #বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ছেন শেখ হাসিনা: নাসির উদ্দিন আহমেদ। #উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা বাঙালির অনবদ্য শ্রেষ্ঠ অর্জন: ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৫৭ পিএম

বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা বাঙালির অনবদ্য শ্রেষ্ঠ অর্জন। আজকে বিজয়ের মাসে প্রারম্ভে দাঁড়িয়ে, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন করেছে জাতিসংঘ। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য একমাত্র দেশ হিসেবে তিনটি মানদণ্ডই পূরণ করেছে বাংলাদেশ।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৩৮তম পর্বে সোমবার (২৯ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন,  উন্নয়নের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। এটি একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া। সে কারণেই হাজার বছরের ঐতিহ্য সম্পন্ন আমাদের এই জাতি একটা লম্বা পথ পরিক্রমা অতিক্রম করে বর্তমান এ পর্যায়ে এসেছে। আমরা সোনার বাঙলার যে স্বপ্ন আছে সেটা মানস্পতে ধারণ করে একটা পরিণত বয়সে পৌঁছেছি। এই স্বপ্নটি আমাদের দেখতে শিখিয়েছেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি তার সারাটা জীবন আমাদের পেছনে উৎসর্গ করেছেন। তিনি তার পরিবারকে সময় না দিয়ে আমাদের জন্য সময় অতিবাহিত করেছেন। তিনি এই উৎসর্গগুলো করেছেন একমাত্র তার স্বপ্নের সোনার বাঙলাকে বাস্তবায়ন করবার জন্য। তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার যে আরাধ্য সাধনা বাস্তবায়নের জন্য যে হারকিউলিয়াম টাস্ক তিনি তার কাঁধে নিয়েছেন। এবং এই দুরূহ কাজটি করবার জন্য যে পরিমাপের প্রয়োজন সেটা পরিণত করার ক্ষেত্রে অনেকাংশে সফল হয়েছেন। এই যাত্রা তার অব্যাহত থাকবে এবং এই চিন্তা ধারা থেকেই তিনি ডেল্টা প্লানের বিষয়টি সৃজন করেছেন। পৃথিবীর একমাত্র চীন দেশ বাদে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবার জন্য যে সাহস ও ধৈর্য থাকে সেটি নিতে সক্ষম হয়নি। আমরা জানি এর ফলে আমাদের বেশ কিছু সুবিধা থেকে বঞ্ছিত হবো কিন্তু এর ফলে আমরা যে অর্জনটি ঘটবে তা হবে আমাদের আত্মসম্মান ও বিশ্বের বুকে আমারা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর যে অর্জন সেটা হবে একেবারেই অনন্য।

নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, জননেত্রী বিশ্বনেত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উত্থান, সামাজিক সুরক্ষা, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ তাঁর বহুমাত্রিক অবদান আজ সারা বিশ্বে আলোড়িত হচ্ছে। তিনি ভিশনারি লিডার, আপোসহীন নেত্রী, গণমানুষের নেতা, উন্নয়নের রোল মডেল এবং সকল ক্ষেত্রে আমাদের আস্থার প্রতীক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামী একদল সেনা সদস্য যখন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেন তখন শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ   রেহানা জার্মানিতে ছিলেন ড. ওয়াজেদ মিয়ার বাসায়। পিতা, মাতা ও ভাইদের হারানোর শোকগ্রস্ত শেখ হাসিনা আশ্রয় নেন ভারতে। তিনি ছয় বছর ভারতে থাকার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন। এর আগেই আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তাঁকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ৩৪ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের মতো একটি পুরানো ও বৃহৎ দলের সভাপতির দায়িত্ব নেন। তৎকালীন আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা, দলের অভ্যন্তরে অনেক জ্যেষ্ঠ নেতার বিরোধিতাসহ নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি সামাল দিয়ে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেন। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে দিশেহারা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপরে দাঁড় করান। ফলে ১৯৯৬ সালে আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। সেই থেকে এখন পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী আছেন শেখ হাসিনা। এ সময়ে শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক অর্জন হলো একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ভারতের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা বিরোধে জয়, ছিটমহল সমস্যার সমাধান। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটেছে। পিতা-মাতা, স্বজন হারানোর সীমাহীন বেদনার মাঝেও তিনি অসীম সাহস ও প্রত্যয় নিয়ে লড়াই করেছেন। তিনি বাংলার জনগণের মাঝেই খুঁজে নিয়েছেন স্বজনদের, দেশের মানুষের জন্য সঁপে দিয়েছেন জীবনের সবটুকু সময়, তিনি অবিরাম ছুটে চলেছেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে।

অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, খুবই চমৎকার একটা বিষয় আজকে নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা। আজকে ভোরের পাতাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই যুগোপযোগী বিষয় নির্ধারণ করার জন্য। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা বাঙালির অনবদ্য শ্রেষ্ঠ অর্জন। আজকে বিজয়ের মাসে প্রারম্ভে দাঁড়িয়ে, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণীত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন করেছে জাতিসংঘ। সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সেশনে মঙ্গলবার এই সুপারিশ গৃহীত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য একমাত্র দেশ হিসেবে তিনটি মানদণ্ডই পূরণ করেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) ত্রি-বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় দ্বিতীয়বারের মতো স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের মানদণ্ড পূরণের মাধ্যমে উত্তরণের সুপারিশ লাভ করেছিল বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সময় এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আমাদের কী হতে পারে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থার কারণে আজ এই অর্জন আমরা অর্জিত করতে পেরেছি। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই উন্নয়ন ও অগ্রগতি এগিয়ে গেছে। আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সামনে শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন উন্নয়নের লক্ষ্যে উন্নত দেশ থেকে অধিকতর সহায়তা উন্নয়নশীল দেশের অনুকূলে সঞ্চালন, উন্নত দেশসমূহের বাজার অনুন্নতের জন্য অধিকতর মাত্রায় উন্মুক্তকরণ এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রতিহতকরণে উন্নত দেশসমূহকে বিশ্বব্যাপী অধিকতর কার্যক্ষম পদক্ষেপ নেওয়া ও উন্নয়নশীল দেশে বিশ্ব উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে অধিকতর বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতৃত্বের অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই উন্নয়নে তার নিজস্ব কৌশল এবং ভবিষ্যত উন্নয়ন ভাবনাগুলো তুলে ধরেছেন। উন্নত অবকাঠামো বিনির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ে তার বৈশ্বিক চিন্তা উপস্থাপন করেছেন। বিগত এক যুগেরও বেশি সময় দেশজুড়ে যত প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে তার সব কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com