#শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণাবলী আজ বিশ্ব স্বীকৃত: মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার। #শেখ হাসিনার জন্য আমরা বিশ্বে গর্বিত জাতি হতে পেরেছি: বজলুর রশীদ বুলু। #জনগণের বিকল্পহীন অবলম্বন শেখ হাসিনা: ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া।

বিশ্বের অস্তিত্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। সেই জায়গাটাকে যদি আমি আরও বিশ্লেষণ করি তাহলে বাংলাদেশের মতো একটি দেশ যা কিনা কেবল উন্নয়নশীল দেশে কাতারে উঠেছে। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী আজকে বিশ্বের যেটা সবচেয়ে বড় হুমকি সেই জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যে ভূমিকা রেখেছেন সেটা কিন্তু আজ বিশ্ব স্বীকৃত। আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। আমাদের গর্বে বুক ভরে যায় আজ তাকে নিয়ে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫২৩তম পর্বে রোববার (১৪ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পিএসসি, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, গবেষক ও লেখক মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টারের কোঅর্ডিনেটর বজলুর রশীদ বুলু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রধান উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, সরকারের দায়িত্বে থাকা এবং নেতৃত্ব দেওয়া কিন্তু দুটি আলাদা আলাদা বিষয়। অনেক সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই আমরা দেখেছি যে যারা এই সকল দায়িত্বে থাকেন কিন্তু নেতৃত্বের যে একটা সিঁড়ি থাকে তার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেন না। সেই উঁচু যায়গায় পৌঁছানোর যোগ্যতাও সবার থাকে না। এই সর্বোচ্চ জায়গায় যিনি পৌঁছান তিনি হয়ে যান রাষ্ট্রনায়ক। আজকে যদি আমরা দেখি বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে যে জায়গাতে পৌঁছেছেন এবং যে উচ্চতায় তিনি উঠেছেন তার যদি আমি একটা নির্মোহ বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখতে পাবো যে বাংলাদেশের যে ১৭ কোটি মানুষের দেশ, যে দেশ পরিচয় হতো বিভিন্ন সমস্যা সংকুল একটি দেশ হিসেবে। সেই দেশে গত ১২ বছর ধরে একটানা শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিশ্ব অঙ্গনে এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দুটি। একটি হলও জলবায়ু চ্যালেঞ্জ অর্থাৎ জলবায়ু পরিবর্তন। বিশ্বের অস্তিত্বের জন্য সবচে বড় হুমকি হচ্ছে এই জলবায়ু পরিবর্তন। সেই জায়গাকে যদি আমি আরও বিশ্লেষণ করি তাহলে বাংলাদেশের মতো একটি দেশ যা কিনা কেবল উন্নয়নশীল দেশে কাতারে উঠেছে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী আজকে বিশ্বের যেটা সবচেয়ে বড় হুমকি সেই জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যে ভূমিকা রেখেছেন, সেটা কিন্তু আজ বিশ্ব স্বীকৃত। এই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে সব দেশ বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে সেই সব দেশের নেতারা সম্মলিতভাবে শেখ হাসিনাকে নেতৃত্বের আসনে বসিয়েছেন।
বজলুর রশীদ বুলু বলেন, আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। আমাদের গর্বে বুক ভরে যায় আজ তাকে নিয়ে। আমরা যখন বাংলাদেশ থেকে বিদেশি আসি তখন আমাদের দেখে বিদেশিরা ধিক্কার দিয়ে বলতো, ‘তোরা বঙ্গবন্ধুর খুনি’। আগে যখন আমাদেরকে জিজ্ঞেস করা হতো আমাদের পরিচয় নিয়ে তখন আমরা বলতাম এই ভারতের পাশে বা পাকিস্তান থেকে মুক্ত হওয়া দেশের নাগরিক আমরা। ভৌগলিক অবস্থানটা বুঝাতে আমাদের অনেক কষ্ট হতো। সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার ১৯৭২ সালে বলেছিলেন, বাংলাদেশ একটি ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ সেই দেশকে নিয়ে আজকে তাদেরই প্রেসিডেন্ট বলছে তোমরা বাংলাদেশকে অনুসরণ করো, কিভাবে তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সৌভাগ্য ’৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের পর আমরা হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো একজন নেতা পেয়েছি। তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি। বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম নিয়েছিলেন বলেই আজকে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। বাংলাদেশের মহান স্থপতির রক্তে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতো না। বিশ্ব উন্নয়নের রোল হিসেবে পরিচিত পেত না। সেই গণমানুষের নেত্রী, বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার, গণতন্ত্রের নেত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, মাদার অব হিউম্যানিটি দেশরত্ন শেখ হাসিনা শুধু গণতন্ত্রের মানসকন্যাই নয়, (মানবতার জননী) হিসেবে সারাবিশ্বে প্রশংসিত। মানবিক নেত্রী বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেখিয়েছেন নিজের দূরদর্শিতা। করোনা নিয়ন্ত্রণ এবং বিশেষত সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বিস্ময়কর সাফল্য দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যার সাহসী পদক্ষেপ এবং তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সময়োপযোগী পরিবর্তনের সুবাতাস বইছে।
ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, ছোট-বড় যেকোনো নেতৃত্বে প্রথমে যেটা থাকতে হবে নৈতিকভাবে শক্তিমান এবং বিতর্ক মুক্ত থাকতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাঁর নেতৃত্বে শুরু থেকেই সেখানে এগিয়েছিলেন। আমরা যদি এভাবে বলি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আরদ্ধ সাধনা হয়ে থাকে যদি স্বাধীনতা, ঠিক আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আরদ্ধ সাধনা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখা। আজকে জাতিসংঘের বিভিন্ন ছোট-বড় পরিষদে আমরা নেতৃত্ব দিচ্ছি। সেখানে যে ৪৮টি কমিটি আছে সেখানে বাংলাদেশ ওতপ্রোতভাবে ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি প্রতি ১০জন শান্তিরক্ষী বাহিনীতে একজন করে বাংলাদেশি রয়েছে। সুতরাং সর্বাধিক শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণকারীর তালিকায় বাংলাদেশ শীর্ষে। সুতরাং আমাদের বুঝতে হবে জাতিসংঘ আমাদের দেশের উপর ভরসা আছে, ভরসা আছে আমাদের নেতৃত্বদানকারীর উপর। আজকের বাস্তবতায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য। তিনি হচ্ছে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, লাল সবুজের পতাকা, সার্বভৌমত্ব ও বাঙালি জাতির রক্ষক। বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন তিনি। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়া মোকাবিলা করেই নির্মাণ করছেন পদ্মা সেতু। বিশ্ব অবাক হয়ে দেখছে যে, বাংলাদেশের মতো দেশ বিশাল পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ধাপে ধাপে পূরণ হয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও রূপকল্প ২০২১ এর সকল কর্মসূচি। দারিদ্র্য হ্রাস, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ- এসব কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে বিশেষ অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ যে উন্নয়নের মহাসড়কে উঠতে শুরু করেছে তার বড় উদাহরণ পদ্মা সেতু, কর্নফুলী টানেল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মেট্রোরেলসহ অনেক অবকাঠামো আজ বাস্তবায়নের মুখ দেখছে- এটি জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল উদ্যোগ। দেশে ও দেশের বাইরে ভিশনারি লিডার হিসেবে শেখ হাসিনার যে ঈর্ষণীয় সাফল্য তা এক কথায় অসাধারণ।