লিখিত অভিযোগে কিশোরী উল্লেখ করেছে যে মা নাসরিন বেগম ও বাবা সামসুল সিকদার দু’জনেই বাসায় বসে মাদক ও নারী ব্যবসা করেন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বেশ কয়েকমাস ধরে তাকে (কিশারীকে) দেহব্যবসা করার কথা বলছিলেন মা-বাবা। কিন্তু কিশোরী তাতে অস্বীকৃতি জানালে প্রতিনিয়তই মারধর করা হতো।
গত জুন মাসে মা নাসরিন বেগম নগরীর মুনসুর কোয়ার্টার এলাকার মিম মধুঘরের মালিক আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের বাসায় নিয়ে আনোয়ারের সাথে তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখে। পরে আনোয়ার তার শ্লীলতাহানি করে।
ওদিকে জুন থেকে অক্টোবর এই ৫ মাসে তার মা-বাবার সরাসরি সহায়তায় ১২৫ বার যৌন নির্যাতন করেছেন ব্যবসায়ী আনোয়ার।
এদিকে আজ শনিবার বিকেলে ঘর থেকে পালিয়ে ওই কিশোরী বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খানকে বিস্তারিত জানালে তিনি তৎক্ষণিক আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য কোতোয়ালি মডেল থানাকে নির্দেশ দেন।
পরে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ শনিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে কিশোরীর মা নাসরিন বেগম, বাবা সামসুল সিকদার ও মধু ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে।
ভোরের পাতা/অ