প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:১১ AM

আজ ১৭ সেপ্টেম্বর মহান শিক্ষা দিবস। ১৯৬২ সালের এই দিনে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের করা শিক্ষানীতির প্রতিবাদে আন্দোলন করতে গিয়ে মারা যান কয়েকজন ছাত্র। এরপর থেকে এই দিনটিকে শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বিভিন্ন শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠন।
তৎকালীন স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ক্ষমতা দখলের দুই মাসের মাথায় ১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর এস এম শরীফের নেতৃত্বে গঠন করেন শরীফ কমিশন খ্যাত শিক্ষা কমিশন।
১৯৫৯ সালের ২৬ আগস্ট এ কমিশনের পেশ করা প্রতিবেদনের প্রস্তাবনাগুলো ছিল শিক্ষা সংকোচনের পক্ষে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে ছাত্র বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবনাই শুধু ছিল না, ২৭ অধ্যায়ে বিভক্ত শরীফ কমিশনে উচ্চশিক্ষা ধনিকশ্রেণির জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আইয়ুব খানের চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষানীতি প্রতিহত করতে গড়ে উঠেছিল ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন। তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বে ‘অল পার্টি স্টুডেন্ট অ্যাকশন কমিটি’ দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচির ডাক দেয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দেওয়া হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট মোড়ে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজিউল্লাহ প্রমুখ শহীদ হন। সেই থেকে বিভিন্ন শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠন প্রতি বছর এ দিনটিকে ‘মহান শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন নানা কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিয়েছে।