শনিবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
ধামইরহাটে ৯০০ বছরের স্থাপত্যশিল্প
ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:৩৪ পিএম

নওগাঁ ধামইরহাটের জগদল মহাবিহার হতে পারে বাংলার প্রাচীন রাজধানী রামাবতী নগর। গবেষকরা বলছেন, দ্বাদশ শতকের কবি সন্ধ্যাকর নন্দী রচিত রামচরিতম গ্রন্থে উল্লিখিত প্রাচীন বাংলার রাজধানী রামাবতী নগরের ধারণাটি অনেকটা স্পষ্ট হয়ে এসেছে জগদলে। ৩ বছর ধরে থেমে আছে জগদলের খনন কাজ। 

কথিত আছে, রাজা রামপাল ভীমকে যুদ্ধে পরাজিত করে পৈতৃক কার্য উদ্ধার করে অত্র এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য জগদল বিহার স্থাপন করেন। রাজা রামপাল পরবর্তী সময় জগদলকে রাজধানী করে তার নাম রেখেছিলেন রামাবতী। এ রামাবতী পাল বংশের শেষ রাজধানী। পরবর্তী সময় স্থানীয় লোকজন এ স্থান আম্বর শহর বলে উল্লেখ করেছেন। 

রাজা রামপাল ১৭ জন পালবংশীয় রাজাদের মধ্যে চতুর্দশ। তিনি একাদশ শতাব্দীতে এ বিহার নির্মাণ করেন। জগদলবিহার বৌদ্ধ সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। রাজা রামপাল একাদশ শতাব্দীতে এ বিহার নির্মাণ করেন এবং এখান থেকেই পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারসহ অন্যান্য স্থান দেখাশোনা করতেন।

জানা গেছে, জগদল বিহারের প্রথম উৎখনন শুরু হয় ১৯৯৬ সালে। মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকে। ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর আবারও শুরু হয় খনন কাজ। সর্বশেষ তৃতীয় পর্যায়ে খনন চালানো হয় ২০১৩ সালে। চলে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত। ওই সময় খনন করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে বৌদ্ধমূর্তিসহ একের পর এক প্রাচীন নিদর্শন। এখানে রয়েছে পাল সম্রাট রামপালের সেই হারিয়ে যাওয়া রামাবতী নগরী।

প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের কর্মকর্তারা অনেকটাই নিশ্চিত, সেই জগদল বিহারই লোটাস বিহার (পদ্ম মহাবিহার)। বিহারটির আকৃতি দেখে লোটাস বৌদ্ধবিহার বলে প্রাথমিকভাবে আখ্যায়িত করেছেন উদ্ধারকারী প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ দল। 

তারা বলেছেন, বরেন্দ্রভূমি তথা দেশের ৯০০ বছরের প্রাচীন স্থাপত্যশিল্প জগদল লোটাস মহাবিহার নতুন সংযোজন। ইতিপূর্বে বাংলাদেশে কোনো বৌদ্ধবিহারে গ্রানাইট পাথরের পিলার দেখা যায়নি।  

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মতে, এ বিহারের দুজন স্বনামধন্য পি ত হলেন দানশীল ও বিভূতিচন্দ্র। প্রায় ৬০ খানা গ্রন্থের তিব্বতি অনুবাদ করেন আচার্য দানশীল। রাজপুত্র বিভূতিচন্দ্র ছিলেন একাধারে গ্রন্থকার, টিকাকার, অনুবাদক ও সংশোধক। জগদল বিহারের আচার্য মোক্ষকর গুপ্ত তর্কভাষা নামে বৌদ্ধ ন্যায়ের ওপর একটি পুঁথি লিখেছিলেন। শুভকর গুপ্ত, ধর্মাকর প্রভৃতি মনীষী এ মহাবিহারের অধিবাসী ছিলেন। দশ শতকের বিখ্যাত কবি সান্ধ্যাকর নন্দীর সংস্কৃত ভাষায় রচিত রামচরিতম গ্রন্থে এসব অলংকরণের নমুনা পাওয়া গেছে। 

ধামইরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বলেন, জগদলে অনুসন্ধানে যেসব তথ্য ও নিদর্শন পাওয়া গেছে তাতে রামাবতী নগরের ধারণাটি অনেকটা নিশ্চিত। তবে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে নিশ্চিত হতে বিহারটি পূর্ণাঙ্গ খনন, সংস্কার এবং আরও গবেষণা দরকার।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


আরও সংবাদ   বিষয়:  স্থাপত্য   শিল্প   প্রত্নতত্ত্ব  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com