শনিবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতীয়তাবোধের প্রতীক
বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ: বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। #আ.লীগের নেতৃত্বে স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে বাংলাদেশ: বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ। #বঙ্গবন্ধুর সুদৃষ্টির ফসল হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ: সৈয়দ আহমেদ সেলিম।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১, ১০:৪৮ পিএম

জাতি সত্তার চিন্তা চেতনা থেকেই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হকের যৌথ নেতৃত্বে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। জন্মলগ্নে এই দলের নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। পাকিস্তানি শাসক শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজেদের একটি জাতি সত্তার অধিকার আদায়ের জন্যই এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। জনগণের দেহ মনের নিরঙ্কুশ স্বাধীন বিচরণের আকাক্সক্ষা পূরণে জন্ম নেয় দলটি। আমাদের এই সময়ে যে গণতন্ত্র বিদ্যমান আছে সেটা ধরে রাখতে হবে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আরও বহুদূর এগিয়ে যেতে হবে। 

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৩৮৫তম পর্বে মঙ্গলবার (২৯ জুন ) আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- নাটোর ৪ আসনের সংসদ সদস্য, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ, জার্মান আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ সেলিম। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল দাস।

বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আপনারা সবাই জানেন আমাদের উপমহাদেশের শাসনভার দখলে ছিল ব্রিটিশদের হাতে। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হলেও ঔপনিবেশিক দুঃশাসন থেকে মুক্তি পায়নি বাংলার মানুষ। পৃথিবীতে এমন কোন দেশ নেই যে একটি দেশের মাঝখানে দুইটি দেশ থাকে। কোথায় পূর্ব পাকিস্তান আর কোথায় পশ্চিম পাকিস্তান। মাজখানে ভারত একটি স্বাধীন দেশ ছিল। এইযে জাতি সত্তার চিন্তা চেতনা থেকেই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হকের যৌথ নেতৃত্বে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। জন্মলগ্নে এই দলের নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। পাকিস্তানি শাসক শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজেদের একটি জাতি সত্তার অধিকার আদায়ের জন্যই এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। জনগণের দেহ মনের নিরঙ্কুশ স্বাধীন বিচরণের আকাক্সক্ষা পূরণে জন্ম নেয় দলটি। অনেক রক্তাক্ত পথ ধাপে ধাপে পাড়ি দিয়ে ৫৫ সালে আওয়ামী পরিপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে চলে। তার আগেই ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে জয় দিয়েই শুরু হয় মিশন। ভাষা আন্দোলন থেকে ছয় দফা হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ। আওয়ামী মুসলিম লীগ যেমন সংগঠনগতভাবে ভাষা আন্দোলনে যুক্ত হয়, তেমনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই এ আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে দেশ গড়ার কাজে মনোনিবেশ করেছিলেন। কিন্তু জাতির দুর্ভাগ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার মধ্য দিয়ে এ দেশের পিছিয়ে যাওয়া শুরু হয়। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ এবং আওয়ামী লীগের জন্য এক দুঃসময় শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে ১৯৮১ সালে বিদেশে নির্বাসিত বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ওই বছরই তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। তরুণ বয়সে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে মনোনিবেশ করেন শেখ হাসিনা। পিতার অনুসরণে তিনিও এ দেশের গ্রাম থেকে গ্রামে ছুটে বেড়ান। বঙ্গবন্ধু যেমন পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে গ্রামগঞ্জে ঘুরে ঘুরে আওয়ামী লীগকে বিশাল একটি মহীরুহে পরিণত করেছিলেন তেমনি তার কন্যাও একই কাজ করে আওয়ামী লীগকে পুনর্জীবিত করেন। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হাজারো লড়াই, সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা অতিক্রম করে আজ এই পর্যায়ে এসেছে। আশা করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বগুণে আওয়ামী লীগ সফলতার ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবেও সারা বিশ্বে অন্যতম উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ বলেন, ৬ দফা না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। ৬ দফা আন্দোলন বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। ৬ দফা দেওয়ার পর সমস্ত বাংলাদেশে এটা প্রসারিত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লাগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে ৬ দফা দাবি পেশ করেন। ঐতিহাসিক দিনটি বাঙালির স্বাধীনতা, স্বাধিকার ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের অন্যতম মাইলফলক, অবিস্মরণীয় একটি দিন। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে যেসব আন্দোলন বাঙালির মনে স্বাধীনতার চেতনা ও স্পৃহাকে ক্রমাগত জাগিয়ে তুলেছিল ৬ দফা আন্দোলন তারই ধারাবাহিকতার ফসল। এরই ধারাবাহিকতায় উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচনে বাঙালির অবিস্মরণীয় বিজয়, একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চের গণহত্যা এবং ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পথ ধরে দেশ স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যায়। ১৬ ডিসেম্বর ৯ মাসের মুক্তি যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত ৬ দফা দাবির সাথে যেমন এদেশের মানুষ একাত্মতা প্রকাশ করেছিল, ঠিক তেমনি দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের মানুষ ঐক্যবন্ধভাবে কাজ করছে। যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আমরা সকলেই জানি বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা, একটি ইতিহাস একটি যুগের পরে যুগ। যে যুগে বাংলাদেশের উত্থান ঘটেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আবারও আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় যায় শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই। নানা ষড়যন্ত্রের কারণে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে না পারলেও রাজপথে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়। বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র নির্ভর রাজনীতি, একগুঁয়েমি ও হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে এ দেশে আলোচিত ১/১১ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সে সময়েও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। সেই থেকে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছে। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে বিপুল অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ রোল মডেল। কোভিড মহামারির মধ্যেও আমাদের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে। আগে আমরা দেখতাম যে শ্রাবন মাস আসলে মানুষ খেতে পারতো না। গ্রামে কিছু মানুষদের ঘরে ধান থাকতো তারা সেগুলো দিয়ে মাস কাটিয়ে দিত। কিন্তু আল্লাহর রহমতে ১৯৯৬ সালে যখন শেখ হাসিনা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসলো তখন খাদ্য উদপাদনে বাংলাদেশ উদ্ধৃত রেখে বিদেশে রফতানি শুরু করলো। আওয়ামী লীগ টানা এক যুগের বেশি ক্ষমতায়। এ সময়ে অভাবনীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ সেøাগান বাস্তবে রূপ নিয়েছে। করোনাকালের মহাবিপর্যয় সামাল দিতে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশ সমৃদ্ধ দেশ হয়ে উঠবে, এ নিয়ে এখন আর সংশয় নেই এমনকি উন্নত বিশ্বেও। উন্নত বিশ্বের সারিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ আওয়ামী লীগের সামনে। আজকে আমাদের এই সময়ে যে গণতন্ত্র বিদ্যমান আছে সেটা ধরে রাখতে হবে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আরও বহুদূর এগিয়ে যেতে হবে। 

সৈয়দ আহমেদ সেলিম বলেন, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশী প্রান্তরে মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ১৮৮ বছর পর ১৯৪৯ সালে বাঙলার সংগ্রামী সাহসী নেত্রীবৃন্দের সমন্বয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নামে নতুন অঙ্গীকার নিয়ে এই সংগঠনের সূচনা হয়। পরবর্তীতে ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন করে দলের নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়। সংগ্রাম, ঐতিহ্য, গৌরব ও ইতিহাসের নানা বাঁক পেরিয়ে ৭২ বছরে পা দিলো হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী আর বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগ। তবে বর্তমানে বঙ্গকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ জনগণের মণিকোঠায় আস্থার ও নির্ভরতার এক মানবিক প্রতীক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দলই নয়। আওয়ামী লীগ এদেশের স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির হৃদয়ের অনুভূতি। ভাষা আন্দোলন, গণআন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের পাতার পরতে পরতে একটিই নাম আওয়ামী লীগ। সব পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের হার না মানা নেতৃত্ব। এই দলের নেতাকর্মীদের ত্যাগ তিতিক্ষা ও অঙ্গীকারদীপ্ত সংগ্রামী ভূমিকা ইতিহাসবিদিত। আওয়ামী মুসলিম লীগের রাজনীতির মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল পূর্ববাংলার স্বায়ত্তশাসন অর্জন। এই লক্ষ্যেই তারা একটি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করেন। এতে পাকিস্তানের আঞ্চলিক ইউনিটগুলোকে আত্মনিয়ন্ত্রণের পূর্ণ অধিকার দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়। গঠনতন্ত্রে বাংলার নিজস্ব পদাতিক, নৌ ও বিমানবাহিনী রাখার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মুসলিম লীগের প্রতি ইতোমধ্যেই পূর্ববাংলার মানুষের আস্থা কমে গিয়েছিল। ফলে অধিকাংশ মানুষই আওয়ামী মুসলিম লীগের নেতৃত্ব মেনে নিতে থাকে। পরবর্তী পর্যায়ে সময়ের দাবিতে এবং বিশেষ করে সাম্প্রদায়িকতার ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে আওয়ামী মুসলিম লীগ ‘আওয়ামী লীগ’ এ রূপান্তরিত হয়। আওয়ামী লীগ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন। তার নেতৃত্বে সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দাপটের সঙ্গে এগিয়ে যায় বাঙালি। ১৯৭০-এর নির্বাচনে জয় পায় আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে ছিল আওয়ামী লীগ। ’৭৫ পরবর্তী ঘটনাবহুল ইতিহাসের পর দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে ছিল দলটি। এরপর ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দলের হাল ধরেন। তার যোগ্য নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর পুনরায় সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের দুঃশাসনে নিপীড়ন-অত্যাচারের শিকার হয়, সবরকম রক্তচক্ষুকে পিছে ফেলে পুনরায় ২০০৯ সালে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসে আওয়ামী লীগ। পর পর তিনটি নির্বাচনে জয়লাভ করে বর্তমানে টানা ১২ বছর সফলতার সঙ্গে সরকার পরিচালনা করছে দলটি।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com