শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
থানা চত্বরের গ্যারেজে ফেনসিডিল বোতলের স্তূপ!
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১, ১২:১৮ AM

নওগাঁর মান্দা থানার কড়া নিরাপত্তা এবং সিসিটিভি ক্যামেরা এড়িয়ে থানা চত্বরের ভেতরের গ্যারেজে দেখা গেছে ফেনসিডিলের খালি বোতলের স্তূপ। কারা এখানে রাখল তা নিইয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

থানা চত্বরের ভেতরে পশ্চিম পাশে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বাসভবন। ওই ভবনের গা ঘেঁষে পূর্ব পাশে মোটরসাইকেল গ্যারেজের কোনায় ফেনসিডিলের খোলা বোতলের স্তূপ পড়ে থাকতে দেখেন সেবা নিতে আসা অনেকে। এমন খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়।

সোমবার (১৪ জুন) সকালে গ্যারেজে গিয়ে দেখা যায়, কোনায় মোটরসাইকেলের নিচে ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেনসিডিলের ১০-১৫টি খালি বোতলের স্তূপ রয়েছে। 

থানায় আসা সেবাপ্রার্থী ও সচেতনদের প্রশ্ন, এগুলো আসলে কারা সেবন করে, কোথা থেকে আসে? পুলিশ মাদকসেবীদের ধরে জেল হাজতে পাঠায়। অথচ সেই থানা চত্বরের ভেতরে খালি ফেনসিডিলের স্তূপ! থানা চত্বরের ভেতরের গ্যারেজে যদি এ অবস্থা হয় তবে বাইরের পরিবেশ কেমন?   
 
সচেতন মহল বলছে- কোনোভাবেই এ অভিযোগের দায় এড়াতে পারেন না থানার কর্মকর্তারা। যেখানে সরকার মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে, নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে থানার ভেতরে ফেনসিডিলের বোতল স্তূপ হয়ে পড়ে থাকে কীভাবে? 

নওগাঁ মাদক নির্মূল কমিটির সভাপতি হাফিজার রহমান বলেন, আমরা মাদক নির্মূল নিয়ে আন্দোলন করে আসছি। সামাজিক আন্দোলন করি সমাজকে মাদকমুক্ত রাখার জন্য। শুধু থানা চত্বরই না সব জায়গা মাদকমুক্ত রাখতে হবে। নওগাঁকে মাদকমুক্ত জেলা হিসেবে আমরা দেখতে চাই। সেই লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, থানার মতো একটি সুরক্ষিত স্থানে কীভাবে ফেনসিডিলের বোতল পড়ে থাকে? থানার কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার শামিল এটি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা উচিত এবং তাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, যদি ছবি থাকে তবে পাঠান। এরপর মেসেঞ্জারে ছবি পাঠিয়ে তাকে একাধিকবার ফোন দিলেও পরে আর তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মান্দা সার্কেল) মতিয়ার রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার কাছে থেকে প্রথম জানলাম। 

থানার ভেতর গ্যারেজে অনেকগুলো ফেনসিডিলের খালি বোতল পড়ে আছে। থানার মতো একটি সুরক্ষিত স্থানে এসব থাকা কতটুকু যুক্তিযোগ্য এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে সেটা তো আলামত সংরক্ষণের স্থান। তবুও আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।


ভোরের পাতা/কে 



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


আরও সংবাদ   বিষয়:  নওগাঁ   থানা   ফেনসিডিল  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com