শনিবার ৮ নভেম্বর ২০২৫ ২২ কার্তিক ১৪৩২

শিরোনাম: জাহানারার অভিযোগ অস্বীকার করলেন সাবেক নির্বাচক মনজুরুল   সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ   জাতির প্রকৃত শক্তি শুধু তার প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যেই নয়: প্রধান উপদেষ্টা   ফেব্রুয়ারির পর নির্বাচন মানুষ মেনে নেবে না: মির্জা ফখরুল   জাহানারার অভিযোগ নিয়ে সরকারি তদন্ত চান তামিম   বাটন ফোন চুরি করে চাকরি হারালেন সেই আনসার সদস্য   মিত্রদের ৪০ আসনে ছাড় দিতে পারে বিএনপি, চলছে দরকষাকষি   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
আমির হামজার সেই বক্তব্য নিয়ে যা বললেন তাহেরি
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:৩৬ পিএম

আলোচিত ইসলামি বক্তা ও জামায়াতে ইসলামীর কুষ্টিয়া-৩ আসনের এমপি প্রার্থী মুফতি আমির হামজা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, রাসুল মুহাম্মদকে (সা.) আল্লাহ তায়ালা নবী নাম দিয়ে পাঠিয়েছিলেন। নবী মানে সংবাদ বাহক। সেই হিসেবে নবীজী সাংবাদিক ছিলেন। সেই বক্তব্যের কারণে তাকে বেয়াদবিতে সেরা বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরি। 

বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। তাহেরি লেখেন, ‘গতকাল দেখলাম আমিরে জামায়াত বক্তব্যের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। এক দিন পরই দেখলাম মিথ্যাবাদী আমির হামজা অবান্তর বেয়াদবিমূলক বক্তব্য দিল। সে আসলেই বেয়াদবিতে সেরা।’

এর আগে আরেক ফেসবুক পোস্টে আমির হামজাকে ইঙ্গিত করে তিনি লেখেন, ‘আল্লাহ হাবীব (দ:) নাকি সাংবাদিক ছিলেন! নাউজুবিল্লাহ। মানসিক ভারসাম্যহীন বিকারগ্রস্ত মিথ্যাবাদী আমির হামজার বাণী অনুযায়ী তার সিট কোথায় বরাদ্দ করা যেতে পারে?’

তাহেরির এ মন্তব্য প্রকাশের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই তার বক্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে বলেন, ‘ধর্মীয় বক্তাদের মুখে এমন বেয়াদবি শোভা পায় না।’

অন্যদিকে কেউ কেউ এটিকে ধর্মীয় বক্তাদের পারস্পরিক দ্বন্দ্বের নতুন রূপ হিসেবে দেখছেন।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টায় মুফতি আমির হামজা কুষ্টিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় বলেন, আমরা যাকে নেতা হিসেবে মানি তিনি মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সা.)। ওনাকে আল্লাহ দুনিয়াতে যে নাম দিয়ে পাঠিয়েছিলেন তা হলো নবী। আর নবী শব্দের শাব্দিক অর্থ সংবাদবাহক।

যারা সংবাদ বহন করেন তাদের আমরা সাংবাদিক বলি। এ অর্থে নবীজি (সা.) সাংবাদিক ছিলেন।

মুফতি আমির হামজার এই মন্তব্য দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

সম্প্রতি আমিরে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দেশজুড়ে সক্রিয় ধর্মীয় বক্তাদের বক্তব্যে সংযম ও সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সেই নির্দেশনার পরদিনই আমির হামজার এই বিতর্কিত ও অশালীন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ধর্মীয় মহলের বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘এই ঘটনাটি প্রমাণ করে, কিছু বক্তার অসংযত বক্তব্যের কারণে ধর্মীয় সমাজে বিভাজন ও অস্থিরতা বাড়ছে।’



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com