প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৫:৫৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
মোহামেডানের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুম শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। তবে টানা চার ম্যাচ জেতার পর ষষ্ঠ রাউন্ডে এসে ফের হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো তামিম ইকবালের দলের।
মঙ্গলবার বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটারের বিপক্ষে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। মোহামেডানের হারের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে জয়ের নায়ক গাজী গ্রুপের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়।
তবে এই ম্যাচে বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছেন তাসকিন আহমেদ। ১০ ওভারে ১০৭ রান খরচ করেছেন, পেয়েছেন তিনটি উইকেট।
বিকেএসপিতে আগে ব্যাটিং করে গাজী ৫ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৩৩৬ রান। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে মোহামেডান শুরুটা খারাপ করেনি। দুই ওপেনার তামিম ও রনি তালুকদার মিলে গড়েন ৭২ রানের জুটি। তামিম ৩৪ বলে ৪৮ রান করে আউট হলে ওপেনিং জুটি ভাঙে। এরপর স্কোরবোর্ডে আরও ৮ রান যোগ হতেই আউট হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৩)।
তৃতীয় উইকেটে অবশ্য রনি ও তাওহীদ হৃদয় মিলে গড়েন ৮০ রানের জুটি। এই জুটির পরই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় মোহামেডান। হৃদয় ৫২ বলে ৩৬ রান করে আউট হওয়ার পর খেই হারিয়ে ফেলে তারা। শেষ পর্যন্ত ৪৮.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭১ রানে থামে মোহামেডান। সর্বোচ্চ ৭৪ রান আসে রনির ব্যাট থেকে। এছাড়া মুশফিক করেন ৪৯ রান।
গাজীর বোলারদের মধ্যে আব্দুল গাফফার ৫৯ রানে নেন চারটি উইকেট। এছাড়া আব্দুল হাসিম পান দুটি উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছে গাজী গ্রুপ। মোহামেডানের বোলারদের নখদন্তহীন বোলিংয়ের সুযোগ নেয় তারা। বিশেষ করে তাসকিনের ওপর ছড়ি ঘোরান গাজী গ্রুপের ব্যাটাররা। আজ ১০ ওভারে ১০৭ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন মোহামেডান ও জাতীয় দলের এই প্রধান স্ট্রাইক বোলার, যা রীতিমতো বিব্রতকর এক রেকর্ড। ২০২৪ সালে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ৯ ওভারে ১০৪ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছিলেন ইকবাল হোসেন। সেই রেকর্ডটিকে ছাড়িয়ে গেলেন তাসকিন।
ডিপিএলে সবচেয়ে বেশি খরুচে বোলিংয়ের তালিকায় তিনে আছেন মুক্তার আলী। চলতি আসরেই বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৯ ওভারে ৯৯ রান দিয়েছিলেন পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের এই পেসার।
শুরুতেই দুই ওপেনার সাদিকুর ও এনামুল গড়েন ১৪১ রানের জুটি। সাদিকুর ৭৫ বলে ৬০ রানে আউট হওয়ার পর দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট হারায় গাজী। যদিও বিজয়ের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে গাজী গ্রুপ ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৬ রান তুলে ফেলে। গাজী গ্রুপের অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪৩ বলে ৪ ছক্কা ১২ চারে অপরাজিত ১৪৯ রানের ইনিংস।
এছাড়া তোফায়েল খেলেন ২৯ বলে ৬৩ রানের ক্যামিও ইনিংস। তাসকিনের সর্বোচ্চ উইকেটের সঙ্গে নাসুম আহমেদ নেন একটি উইকেট।