প্রকাশ: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:৫৫ পিএম

রাজধানীতে রাতে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনা ঘটছে হরহামেশা। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের দেখা মেলে খুব কম। বেশির ভাগ জায়গায় নেই চেকপোস্ট কিংবা পর্যাপ্ত পুলিশি টহল। এতে উদ্বিগ্ন নগরবাসী।
এর মধ্যে বরাবরই ছিনতাইপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদপুর। ৫ আগসটের পর ওই এলাকায় অপরাধ বাড়লেও বর্তমানে রাত ১২টার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যের উপস্থিতি দেখা যায় না।
শুধু মোহাম্মদপুর নয়, মানিক মিয়া এভিনিউয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়কেও থাকে না পুলিশের উপস্থিতি। যদিও সংসদ ভবনের মূল ফটকের সামনে থাকে পুলিশি চেকপোস্টর সরঞ্জাম। তবে সংসদ ভবনের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য জানালেন, আগে এখানে চেকপোস্ট বসলেও সেটি আর এখন বসে না।
কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে কয়েকজন জানান, এখানে রাতে পুলিশ টহল থাকে। তবে মধ্য রাতে পুলিশের কোনো টহল গাড়ির দেখা মেলে না।
অবশ্য কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিলের দিকে এগোতেই দেখা মেলে তেজগাঁও থানার অস্থায়ী চেকপোস্ট। যদিও একটু দূরে কারওয়ান বাজার রেলগেটে চলে মাদকের কারবার।
এফডিসি থেকে পুলিশ প্লাজা পর্যন্ত হাতিরঝিলের কোথাও নেই পুলিশি তৎপরতা। অবশ্য অভিজাত এলাকা গুলশানে ঢোকার মুখে একটি চেকপোস্ট নজরে এলেও পুলিশ সদস্যরা থাকেন পুলিশ বক্সের সামনে।
গত ৪ মাসে শুধু ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাজধানীর অর্ধশত থানায় মামলা হয়েছে ১৩৯টি। অবশ্য ঘটনা যা ঘটছে, এর বেশির ভাগই নজরে আসছে না গণমাধ্যম বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। রাতের এমন দশা নিয়ে উদ্বিগ্ন নগরবাসী।
যদিও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাজধানীতে দিন ও রাত মিলিয়ে প্রতিদিন পুলিশের অন্তত ৫০০টির বেশি টহল টিম কাজ করছে।
ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে টহল দেওয়া হয়। এমন নয় যে, একই দিনে, একই জায়গায় বা একই সময়ে তল্লাসি কার্যক্রম চালানো বা চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। যেসব বিষয় আমাদের নজরে এসেছে, সেসব অপরাধ আরো কীভাবে কমানো যায়, সেই ব্যাপারে কাজ করছি।’