শনিবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: এন্ডোসকপির পর খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ বন্ধ, শাশুড়িকে দেখে মায়ের বাসায় জোবাইদা   আগামীর বাংলাদেশ হবে কুরআনের বাংলাদেশ: জামায়াত আমির   খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়ার আয়োজন রাষ্ট্রপতির   খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে জার্মানি থেকে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স    বাংলাদেশে এলো তারেক রহমানের বুলেটপ্রুফ গাড়ি, দাম কত?   হেলিকপ্টারে বিমানবন্দর যাবেন খালেদা, মধ্যরাতে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স   নড়াইল-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন মনিরুল ইসলাম   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ বাতিলের দাবিতে এনসিটিবি ঘেরাও
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৩৬ পিএম

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও রাষ্ট্রদ্রোহী পরিভাষা উল্লেখ করে ‘আদিবাসী’ শব্দ বাতিল এবং রাষ্ট্রদ্রোহী এই ‘অপকর্মে’র সঙ্গে জড়িতদের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সামনে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর থেকে শিক্ষার্থীরা এনসিটিবির সামনে ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ সংগঠনের ব্যনারে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।

সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহম্মদ ইয়াকুব মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভ করছি, বিচ্ছিন্নতাবাদী ও রাষ্ট্রদ্রোহী শব্দ ‘আদিবাসী’ যারা পাঠ্যবইয়ে যুক্ত করেছেন তাদের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে।’

‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহম্মদ মুহিউদ্দিন রাহাত জানান, “আল্টিমেটাম দেওয়া সত্ত্বেও ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ৯ম-১০ম শ্রেণির ‘বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি’ বই থেকে বিতর্কিত ও রাষ্ট্রদ্রোহী পরিভাষা ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রত্যাহার না করায় এনসিটিবি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’।”

আন্দোলনকারীরা জানান, পরিমার্জন কমিটিতে থাকা রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদকে এখনই অপসারণের ঘোষণা এবং পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ অন্তর্ভুক্তি অনুমোদন করায় এনসিটিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগসাজশ থাকা কর্মকর্তাদের পদত্যাগসহ আন্দোলনকারীদের দেওয়া পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারি ঘোষণা না এলে ঘেরাও কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এজন্য তদন্ত কমিটি গঠন ও জড়িতদের অপসারণসহ শাস্তি দাবি করেন তারা।

বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচিতে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক জিয়া বলেন, “গত ৮ জানুয়ারি আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঠ্যপুস্তক থেকে বিতর্কিত ও সার্বভৌমত্ববিরোধী ‘আদিবাসী’ শব্দটি প্রত্যাহারের ঘোষণা চেয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয় আমাদের হতাশ করেছে। তাই দেশের স্বার্থে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার স্বার্থে এনসিটিবি ঘেরাও করতে বাধ্য হয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “নতুন বছরের স্কুল ও মাদ্রাসার নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি’ বইতে ‘আদিবাসী’ শব্দ সংযোজন খুবই আপত্তিকর, অনাকাঙ্ক্ষিত, সংবিধানবিরাধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ, যা বিচ্ছিন্নতাবাদের পথ সহজ করবে। কারণ বাংলাদেশে একমাত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং তাদের দেশি-বিদেশি পৃষ্ঠপোষক ও দোসররাই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ‘আদিবাসী’ বলে প্রচারণা চালায় ও স্বীকৃতি চায়। তাদের এই প্রচারণা ও স্বীকৃতি চাওয়ার পেছনে আলাদা রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। ছলে-বলে-কৌশলে তাই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের দেশে ‘আদিবাসী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নতুন একটি তথাকথিত স্বাধীন রাষ্ট্র ‘জুম্মল্যান্ড’ তৈরির পথ সহজ হবে। এনসিটিবিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সেই পৃষ্ঠপোষক ও দোসররাই ‘আদিবাসী’ শব্দটি বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সরকারকে একটি তদন্ত কমিটি করে অতিদ্রুত এদের চিহ্নিত ও অপসারণ করতে হবে এবং শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য হুমকি।”

আন্দোলনকারীদের ৫ দফা দাবি

১) পাঠ্যপুস্তক থেকে রাষ্ট্রদ্রোহী ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রত্যাহার, অখণ্ড ভারতের কল্পিত মানচিত্রের সব ধর্মীয় গাছের ছবি মুছে ফেলা, পরিমার্জন কমিটিতে থাকা দেশীয় মূল্যবোধবিরোধী ধর্মহীন রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদকে অপসারণ, ‘আদিবাসী’ শব্দ অন্তর্ভুক্তি অনুমোদন করায় এনসিটিবির চেয়ারম্যান ও এর সঙ্গে যোগসাজশ থাকা কর্মকর্তাদের পদত্যাগ এবং তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রবেশ সংযোজনের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের অপসারণ ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

২) অবাঙালিদের (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী) আদিবাসী সম্বোধন করে কোনও বক্তব্য দেওয়া যাবে না, কোনও বই-পুস্তক ছাপানো যাবে না, লেখালেখি করা যাবে না, কোনও নাটক সিনেমা বা গল্প-কাহিনী রচনা করা যাবে না। বাঙালিদেরকেই বাংলাদেশের একমাত্র আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকতে হবে।

৩) ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের (অবাঙালি) ‘আদিবাসী’ বলা ও প্রচারণাকে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

৪) শিক্ষার কথিত মানোন্নয়নের নামে দেশের শিক্ষাখাতে আন্তর্জাতিক সংস্থা বা এনজিও থেকে তহবিল নেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং বৈদেশিক তহবিলের নামে শিক্ষা কারিকুলামকে সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে তুলে দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের মগজ বিক্রি করা যাবে না।

৫) দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে শিক্ষানীতি, শিক্ষাক্রম, পাঠ্যক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও পরিমার্জনে বিদেশি সংস্থা বা তাদের দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তিদের থেকে শতভাগ প্রভাবমুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র পরামর্শ ও প্রতিনিধিত্ব রাখতে হবে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com