প্রকাশ: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে মাদকবিরোধী অভিযানের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে মামলার আসামি হয়ে জেলহাজতে প্রেস ক্লাব ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার সভাপতি ও গণকণ্ঠ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন আরিফ।
গত রোববার (৫ জানুয়ারি) উপজেলার বাবুরহাট এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালায় ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ। সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আরিফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
পুলিশ অভিযান শেষে মাদক কারবারি হাফিজুর ও তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ ভ্যানে তুললে, এলাকাবাসী বাধা দিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেয়।
এমন সময় পুলিশ ও জনগনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আসাদুল মেম্বার মুঠোফোনে আনোয়ার সাংবাদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য ডাকে। সাংবাদিক আনোয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। তারপর জানতে পারে হ্যান্ডকাফ হাতে আসামি পুলিশের গাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। কর্তব্যরত এসআই সাংবাদিক আনোয়ারকে থানায় গিয়ে ঘটনার বর্ণনা দিতে অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে সাংবাদিক আনোয়ার ভারুঙ্গামারী থানা পুলিশের সঙ্গে থানায় আসে।
থানার ওসি সাংবাদিক আনোয়ারের নামে একটি মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায় জেলহাজতে পাঠানোর ঘটনায় ধারাবাহিক নিউজ চলমান ছিল। এ প্রেক্ষিতে পূর্ব শত্রুতামূলক ওসি মনিরুল ইসলাম সাংবাদিক আনোয়ারকে, আবারো একটি মিথ্যা ভিত্তিহীন মাদক মামলায় আসামি করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠান। যা এজাহারে উল্লেখিত সময়ে সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন সোনা হাট কলেজ মোড়ে একটি স্যান্ডেলের দোকানে বসা ছিল সিসিটিভি ফুটেছে তা প্রমাণিত হয়েছে।
এমনকি আরো প্রমাণিত হয় যে ঘটনার তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৫ স্থলে ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ সাল লেখায় আবারো প্রমাণিত হয় যে সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ভাঙ্গামারী উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে সকল সাংবাদিক এবং বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় সাংবাদিকগণ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।