তিনি বলেন, যেহেতু বিএনপি সংঘাত চায় না, শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট নিরসন করতে চায় এবং সমস্যার সমাধান চায়। আর যেহেতু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ২৪ তারিখে তাদের কাউন্সিলের কারণে আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পরিবর্তন প্রত্যাশা করেছেন এবং আমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সেজন্য আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক আচারণ করতে চাই। তাই পূর্ব ঘোষিত ২৪ ডিসেম্বর ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যে কর্মসূচি সেটা আমরা পুনর্বিন্যাস করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেহেতু ঢাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে সেজন্য ২৪ তারিখে আমরা ঢাকায় গণমিছিল করবো না। তবে, ঢাকা বাদে সারাদেশে গণমিছিলের যে কর্মসূচি আছে, সেটা জেলা-মহানগরে অব্যাহত থাকবে। আর ঢাকায় ২৪ তারিখের পরিবর্তে ৩০ তারিখে গণমিছিল করবো।
৩০ তারিখ গণমিছিল করার সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের যে আন্দোলন, সেই লড়াইয়ে জনগণকে ৩০ ডিসেম্বর স্মরণ করে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ২০১৮ সালের এই তারিখে দিনের ভোট রাতে করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সেজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে আমাদের ১০ দফার দাবির আলোকে যে লড়াই, সেই লড়াই এগিয়ে নেব।
অন্য কোনও দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি বিঘ্নিত হোক এমন কিছু বিএনপি কখনও করার চেষ্টা করে না বলে উল্লেখ করে দলটির সিনিয়র এ নেতা বলেন, যদিও আমাদের কর্মসূচি বিঘ্নিত করার জন্য আওয়ামী লীগ গত ১০ তারিখে ঢাকায় শহরের প্রত্যেকটা পাড়া-মহল্লায় মহড়া দিয়েছে। শহরের প্রত্যেকটা প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসিয়ে আমাদের লোকজনকে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মোবাইল ফোন চেক করা হয়েছে। তারপরও আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।