প্রকাশ: সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:৪৫ পিএম

৩০ লাখ শহীদের রক্তের বন্যায় এবং ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন এই বাংলাদেশ। পাকিস্তানি শাসনের শৃঙ্খল থেকে গৌরব ও অহংকারের মাস ডিসেম্বর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এর মধ্যে যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আঁকা ছিল, যে বাংলাদেশে স্বপ্ন দেখে তিনি এই ভাষণ দিয়েছিলেন; সেই বাংলাদেশ গড়তে আজ আমরা পূরণ করতে চলেছি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯০৭তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রবিন মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক, ভোরের পাতা সংলাপের সমন্বয়ক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।
রবিন মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধা জানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ১৫ আগস্টের সেই কালো রাতে তার পরিবারের যেসব সদস্যরা শাহাদাতবরণ করেছিলেন এবং ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ ইজ্জত হারা মা-বোনদের ও জাতীয় ৪ নেতাকে। বাঙালির জীবনে এক অনন্য গৌরব এই ডিসেম্বরেই। এই মাসেই বাঙালি জাতি পায় তার লালিত স্বপ্নের স্বাধীনতা। জাতির পিতা সাড়ে তিন বছর এই দেশ পরিচালনা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু এই স্বাধীন বাংলাকে নিয়ে তার লালিত স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি তিনি ৭৫ এর মর্মান্তিক ষড়যন্ত্রের কারণে। কিন্তু এই দেশের জন্য সাড়ে তিন বছরে তিনি যা করে গিয়েছিলেন সেটা অবিস্মরণীয় হয়ে আছে এখনো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এর মধ্যে যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আঁকা ছিল, যে বাংলাদেশে স্বপ্ন দেখে তিনি এই ভাষণ দিয়েছিলেন; সেই বাংলাদেশ গড়তে আজ আমরা পূরণ করতে চলেছি। নানা প্রতিকূলতার পরও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। মাথাপিছু আয় বাড়ছে। কমছে মাতৃমৃত্যু এবং শিশুমৃত্যু। গড় আয়ু বেড়েছে। রোধ করা সম্ভব হচ্ছে বাল্যবিয়ে। উন্নয়নের রোল মডেল এখন বাংলাদেশ। প্রযুক্তিখাতে অভাবনীয় উন্নতি হচ্ছে। কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে হাইটেক পার্ক। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে পারমাণবিক যুগে প্রবেশ করেছে দেশ। উড়াল সেতু যোগাযোগের ক্ষেত্রে এনেছে নতুন মাত্রা। মেট্রোরেলের বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখলেই বোঝা যায় রেল যোগাযোগে কতটা উন্নতি হচ্ছে। সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের বিষয় ছিল নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ এবং এই স্বপ্ন আজ বাস্তবে পরিণীত হয়েছে। এসব কিছুই স্বপ্ন ছিল আমাদের জাতির পিতার যা আজ অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করেছেন আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা।