প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২, ১১:২৪ পিএম

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের কাছে আগামী ১০ তারিখে শুধু ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগকে একটা সমাবেশ করার অনুমতি চাচ্ছি এবং আমরা চ্যালেঞ্জ দিতে চাই যে ওইদিন যদি আমরা ঢাকা দখল করতে না পারি তাহলে আমরা রাজনীতি ছেড়ে দিব। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি যেমন দেশ সেবায় নিয়োজিত হয়েছিলেন, তেমনি শেখ হাসিনার ডাকে বর্তমান যুবলীগ দেশ সেবা করবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৮৩তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার, ইতালি আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রসুল কিটন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বলেন, যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মহা সমাবেশ ঘিরে মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠেছিল ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকা। আসলে আমি খুবই ক্লান্ত কারণ আমিও সেখানে উপস্থিত ছিলাম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হল বাংলাদেশ যুবলীগ। আমি মির্জা ফখরুলকে চ্যালেঞ্জ করতে চাই আজকে যুবলীগের প্রোগ্রামে যে হারে মানুষের উপস্থিতি ছিল সেই মানুষের উপস্থিতি যদি আপনারা ১০ তারিখ কেন ১৫ তারিখ, কিংবা ফেব্রুয়ারির ২৯,৩০তারিখেও এই ধরণের মানুষের সমাগম করতে পারেন তাহলে আমি শেখ হাসিনা আপাকে অনুরোধ করবো ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য। আজকে যে পরিমাণ মানুষ এসেছে যুবলীগের মহা সমাবেশে সেটা কি কোনভাবে ঢেকে রাখা যাবে? কোনভাবেই যাবে না। সেখানে কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া যে পরিমাণে যুবদের আগমন হয়েছিল তারা যদি মাঠে নামে তাহলে ফখরুল ইসলাম কিভাবে ঢাকা দখল করার স্বপ্ন দেখে। আমরা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের কাছে আগামী ১০ তারিখে শুধু ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগকে একটা সমাবেশ করার অনুমতি চাচ্ছি এবং আমরা চ্যালেঞ্জ দিতে চাই যে ওইদিন যদি আমরা ঢাকা দখল করতে না পারি তাহলে আমরা রাজনীতি ছেড়ে দিব। সমাবেশ বা মাথা গোনার রাজনীতি কিন্তু গণতন্ত্র নয়, গণতন্ত্র হচ্ছে নির্বাচন ব্যবস্থার মধ্যে গিয়ে জনমত প্রতিষ্ঠা করা।